দ্বিতীয় দিনেও কোরবানি দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা


নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর নানা এলাকায় পশু কোরবানির দৃশ্য দেখা গেছে। ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুই দিন—অর্থাৎ ১২ জিলহজ পর্যন্ত কোরবানি করার সুযোগ থাকায় এই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।
অনেকেই কসাই সংকটের কারণে ঈদের দিন কোরবানি দিতে না পেরে আজ কোরবানি করছেন। এ বিষয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ঈদের দিন কোরবানির পশুর বর্জ্য রাতের মধ্যেই পরিষ্কার করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার (৯ জুন) পর্যন্ত কোরবানি অব্যাহত থাকলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সক্রিয় থাকবেন, ফলে নগরবাসী তাদের সুবিধামতো সময়েই কোরবানি দিতে পারছেন।
রোববার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফজরের নামাজ শেষ হতেই অনেক বাসিন্দা কোরবানির প্রস্তুতি নেন। ঈদের আগেই পশু কিনে রাখা লোকজন আজ কোরবানি সম্পন্ন করছেন।
রামপুরার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন, “ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ ঈদের দিন কোরবানি করেন। তখন কসাই সংকট দেখা দেয়। তাই আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম দ্বিতীয় দিন কোরবানি করব। আজ নিরিবিলি পরিবেশে কোরবানি দিতে পারছি। ফজরের নামাজের পর হুজুর এসে গরু জবাই দিয়ে গেছেন, কসাইরা মাংস কাটার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আশা করছি সকাল ১০টার মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ঈদের পরের দিন কোরবানি দিলেও আল্লাহর কাছে তা কবুল হতে পারে। কোরবানির মূল লক্ষ্য তো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, আর সেটা কোন দিন হলো—তা মুখ্য নয়। কবুল করার মালিক একমাত্র তিনিই।”
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের ইচ্ছা ছিল ঈদের দিনই কোরবানি দেওয়ার, কিন্তু কসাই না পাওয়ায় আজ কোরবানি করছি। শুধু আমরাই নই, কসাই সংকটে অনেকেই আজ কোরবানি দিচ্ছেন।”
তিনি বলেন, “ঈদের দিন কোরবানি দিতে না পারলেও কোনো আক্ষেপ নেই। তবে বাচ্চারা একটু মন খারাপ করেছিল। আজ ওরা আনন্দ করছে, এটিই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় শান্তি। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টিই তো মূল উদ্দেশ্য। কার কোরবানি কবুল হবে, তা আল্লাহই জানেন।”
খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, “ঈদের দিন ও পরবর্তী দুই দিন পশু কোরবানি করা যায়। তিনদিনই সমানভাবে মূল্যবান। গতকাল যারা কোরবানি দিয়েছেন, তাদের যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য ছিল, আজ যারা দিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যও ঠিক তাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মাংস ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী তিনভাগ করে দেব—একভাগ আত্মীয়-স্বজন, একভাগ গরিবদের জন্য আর একভাগ নিজের জন্য। এখন কবুল করার মালিক আল্লাহ।”
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ঈদের দিন রাতেই পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ ও আগামীকালও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন ৭৫টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে তা মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ফেলা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে ডাম্প করা হয়েছে।
এ কাজে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ হাজারের বেশি জনবল অংশ নিয়েছে। মাঠে আছে ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ মোট ২০৭৯টি যানবাহন। ৭৫টি ওয়ার্ডেই এসব যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র ঈদুল আজহার পর ঘরমুখো মানুষের ফেরার যাত্রায় …

আজ থেকে চলবে মেট্রোরেল, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহার একদিনের ছুটি শেষে আজ থেকে রাজধানীর …

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস …
