• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
প্রগতি লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী গুনাগরী সার্ভিসিং সেল কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক উন্নয়ন সভা শেরপুরে বিজিবির ভারতে পাচারকালে ৬৩ কেজি শিং মাছ জব্দ বাকৃবিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার জুলাই ৩৬ হলের ১৫ ছাত্রী ফুলবাড়ীতে  চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে  কিশোরী ও অভিভাবক সমাবেশ গোয়ালন্দে জুয়ার আসর থেকে ৮ জন গ্রেপ্তার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের দায় সরকার এড়াতে পারে না শিবির জাতীয় সংগীত মানে না, তাই ঐক্য অসম্ভব : নাছির দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থানে আনতে একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা রাজবাড়ীতে ওয়ারেন্টভুক্ত ছয় আসামি গ্রেপ্তার

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে রাজার কঠোর হুশিয়ারী

   ১৪ জুন ২০২৫, ০৯:০৮ পি.এম.
বক্তব্য রাখছেন হাসানুল ইসলাম রাজা। শুক্রবার রাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার কুয়াবাসী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে।

পাবনা প্রতিনিধি
সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ নেতাদের হুশিয়ার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাসানুল ইসলাম রাজা বলেছেন, ‌'গোটা চাটমোহর উপজেলার যে সমস্ত নেতা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, দালালি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী কর্মকান্ডে গত দশ মাস ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন, আপনারা এই মুহুর্ত থেকে সতর্ক ও সাবধান হয়ে যান। তা না হলে আমি আপনাদের পিঠের চামড়া লাল করে দেওয়াবো। কোনো বাপই আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না।'

শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের কুয়াবাসী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসানুল ইসলাম রাজা বলেন, 'আপনারা যদি এতই ভাল খেলোয়ার হন তাহলে আজকের উঠান বৈঠকে মানুষকে আসতে বাধা দিয়েছেন কেন। আপনারা কি আপনার পায়ের জুতার মাপ জানেন? পাছার ওপর পিটায়া, সেনাবাহিনী দিয়ে, প্রশাসন দিয়ে পিটায়া পিঠের চামড়া তুলে এই চাটমোহর থেকে আমি আপনাদের নির্বাসনে পাঠাবো। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী কখনও দলের নেতা হতে পারে না। তাহলে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সন্ত্রাস করছে, চাঁদাবাজী করছে, লুটপাট করছে, জমি দখল করছে, তারা কি করে বিএনপির নেতা হতে পারে?'

সাধারণ মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে রাজা বলেন, 'আমি আপনাদের সবাইকে কথা দিচ্ছি। আমি রাজা দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ৩৬৫ দিন সবার পাশে থাকবো। শুধু আপনারা আমার পাশে থাকেন। আর যারা হুমকি ধামকি দিচ্ছো, সন্ত্রাসী কায়দায় কথা বলছো, আমি আমার হাত দিয়ে তাদের জিভ টেনে বের করে নিয়ে আসার সাহস রাখি। গত দশ মাস অনেক মানবতা দেখিয়েছি, আর নয়। তোমরা যারা সাড়ে তিন লাখ মানুষের ভোট নিয়ে চাটমোহরের বাইরের মানুষকে হায়ার করে এমপি বানাতে চাও সেই সমস্ত সন্ত্রাসী নেতাদের হুশিয়ার করে দিতে চাই, আমি তোমাদের পাছার চামড়া তুলে নেবো, ডুগডুগি বাজাবো, যেখানে হবে দখলবাজি, যেখানে হবে সন্ত্রাসী, যেখানে হবে চাঁদাবাজী, সেখানেই হবে প্রতিরোধ। আমি রাজা তোমাদের রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না।'

তিনি বলেস, 'তোমরা এতই যদি খেলোয়ার হও, সামনে এসে খেলো, সামনে এসে কথা বলো। আরে রাজার টাকা তোদের কার পকেটে নাই। তোরা তো আমার খায়া পড়ে বড় হইছু চাটমোহরে বিএনপির সমস্ত নেতারা। তোরা ২০০৮ সাল থেকে চাটমোহরে বিএনপির যত নেতাকর্মী আছে, তারা রাজার প্রজেক্টে তিনবেলা খেয়ে, গাড়ি ভাড়া নিয়ে, হাত খরচের টাকা নিয়ে বছরের পর বছর তোরা রাজনীতি করেছিস। আর আজ আমার নেতৃত্বে তোরা চক্রান্ত করিস, রাজাকে মাইনাস করার। আরে সেই শক্তি, সেই প্রজ্ঞা, সেই যোগ্যতা, সেই জনসমর্থন কি তোদের আছে?'

হাসানুল ইসলাম রাজা বলেন, 'আজ আমি ইউনিয়নে ইউনিয়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক করছি কেন, শহীদ জিয়ার আদর্শের কথা বলার জন্য, ম্যাডাম জিয়ার আদর্শ তুলে ধরার জন্য। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কারণ আমরা রাজনীতি করি দুখি, অসহায়, মেহনতি মানুষের জন্য। আমি মাস্তান দেখে রাজনীতি করি না, আমি চাঁদাবাজ দেখে রাজনীতি করি না। কে কত টাকা আমার পকেটে দেবে সেটা ভেবে রাজনীতি করতে আসিনি।'

রাজা আরও বলেন, 'আরে তোরা তো লুটেরা, তোরা তো সন্ত্রাসী। তোদের তো চরিত্র নাই, বিবেক নাই, নীতি-নৈতিকতা নাই, আদর্শ নাই, মুল্যবোধ নাই। তোরা চরিত্রহীন, লম্পট, বাটপার, দুর্নীতিবাজ। তোরা আমার সঙ্গে কি খেলবি। আমার সঙ্গে খেলতে আসলে জনতা দিয়ে তোদের খেলে দিবো, জনতা দিয়ে তোদের গণধোলাই দিয়ে চৌদ্দ শিকের মধ্যে ঢুকাবো ইনশাআল্লাহ। আমি রাজা আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই, যারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, দখলবাজি করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। তা না হলে আপনাদের কোনো বাপই আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না। চৌদ্দ শিকের মধ্যে ঢুকায়ে পাছার চামড়া লাল করে দেবো। তাই আপনারা সাধারণ পা ফাটা খেটে খাওয়া সব শ্রেণী পেশার মানুষ আমার পাশে দাঁড়ান, বিএনপির ছায়াতলে দাঁড়ান। আপনারা আমার পাশে দাঁড়ালে সব অন্যায়, অত্যাচার, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, দখলবাজদের উচ্ছেদ করে দেবো।'

ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মাস্টারের সঞ্চালনায় উঠান বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম মাস্টার, চাটমোহর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল করিম, ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম, যুবদল নেতা আলামিন তালুকদার, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস আলী প্রমুখ।

ভিওডি বাংলা/এম 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়