ভয় দেখিয়ে
মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর রেখে যুবদল নেতার ভাইকে রক্ষার অভিযোগ


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলের পল্লীতে জেলে পাড়ার এক নারীকে গভীর রাতে হাত ধরে টানাটানির পর ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তের ভাই যুবদল নেতা ভাইয়ের সম্মান রক্ষার চেষ্টা শুরু করেন। আর দুই দিন পর হুমকি-ধমকি দিয়ে চাপে ফেলে মীমাংসা পত্রে নারীর স্বাক্ষর নিয়ে ভাইকে রক্ষা করেন ওই নেতা।
সাইফুল ইসলাম মুন্সি নামে ওই নেতা নিজেকে ময়মনসিংহ জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
চাপের মুখে স্বাক্ষর দিয়েই ওই ভুক্তভোগী বাবার বাড়ি ছাড়েন। আর এখন ওই নেতা নিজের ফেসবুক আইডিতে এ প্রতিনিধিকে উল্লেখ করে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলার ভয় দেখাচ্ছেন।
জানা যায়, ঈদের আগের দিন রাতে ওই ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক সেলিম মিয়ার (৩৫) ভাই সাইফুল মুন্সি নিজেকে জেলা যুবদলের পরিচয় দিয়ে থানায় প্রভাব খাটিয়ে মীমাংসার কথা বলে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে চাপ দেন। নারী কোনোভাবেই মীমাংসায় রাজী না হওয়ায় বেশ কয়েক দফায় নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসেন।
এক পর্যায়ে মীমাংসা না হলে বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ওই নারীকে তিনি হুংকার দিয়ে বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশ আসা এগুলি কি? অহনই পা ধইর্যা মীমাংসা অইবি, না অইলে আগুনে পুইর্যা ছারখার অইব।’ এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘সাংবাদিক-টাংবাদিক ধাইক্যা দিয়াম। তরারে বাঁচানোর কেউ থাকবো না। তর জামাইরে কইছ আমারে চিনে না। আমি কেলা।’
এ সব হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার পর গত ৯ জুন (সোমবার) মীমাংসা পত্র লিখে ওই নারীর স্বাক্ষর আদায় করা হয়। পরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা নারী নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দুই মেয়ে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যান।
ওই নারীর স্বজনরা জানান, এক রকম চাপের মুখে পড়েই মীমাংসা পত্রে সই দিতে বাধ্য হয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
স্থানীয় সূত্র ও থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই নারীর বাড়ি উপজেলার একটি জেলেপাড়ায়। তিনি বিবাহিত সূত্রে স্বামীর সঙ্গে ঢাকার আশপাশে বসবাস করেন। ঈদ উপলক্ষে তিনি দুই দিন আগে বাবার বাড়িতে দুই মেয়ে নিয়ে বেড়াতে আসেন।
ওই নারী জানান, ঈদের আগের দিন রাতে দেখতে পান তার বাবার বসতঘরের পাশে অন্য একজনের ঘরের বারান্দায় বসে গল্প করছেন এক ব্যক্তি। এ সময় তিনি প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বের হন। এক পর্যায়ে বসতঘরের পেছনে প্রাকৃতিক ডাক সেরে ফেরার সময় ওই ব্যক্তি এগিয়ে গিয়ে কেমন আছেন বলেই হাত ধরে টানাটানি করেন। বাধা দিলে ওই সময় তিনি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করেন।
এ সময় ঘরে মেয়েরা ও পরিবারের অন্যদের কারণে প্রথমে জোড়ে শব্দ না করে হাত ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়ে চিৎকার দিলে ওই ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যান। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ব্যক্তি হচ্ছেন পাশের রামেরকান্দা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. সেলিম মিয়া (৩৫)। তিনিই গত প্রায় ১০ মাস আগে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকেও যৌন নীপিড়নের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভিওডি বাংলা/এম
কিছু সাংবাদিক পরিকল্পিতভাবে অপতথ্য প্রচার করছেন: নার্গিস বেগম
যশোর প্রতিনিধি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ‘হাসিনার সুবিধাভোগী …

ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির …

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ইমরানের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ
নান্দাইল প্রতিনিধি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ইমরান হোসেন (২৮) শুক্রবার রাত ১২টার …
