• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

আমি সত্যিই তাদের জন্য দুঃখিত : বাঁধন

   ২ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৯ পি.এম.
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি-সংগৃহীত

বিনোদন প্রতিবেদক
জুলাই বিপ্লবে সোচ্চার ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নারী নির্যাতন, ধর্ষণসহ নানা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। এই নিয়ে শিরোনামও হয়েছিলেন বাঁধন। সেসব শিরোনামে কখনো লেখা হয়, বিপ্লব ভুল ছিল বাঁধনের। তবে এই নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী। এবার তিনি মুখ খুললেন।

বাঁধন বুধবার সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে, আমি সত্যিই তাদের জন্য দুঃখিত। সেই মুহূর্তে সেটাই ছিল জেগে ওঠার সঠিক সময়। বলা যায়, সময়ের প্রয়োজনে জেগে ওঠা। বহুসংখ্যক মানুষ যে পরিমাণ বিচারহীনতার মুখোমুখি হচ্ছিল, তা মানবিকভাবে ভেঙে পড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছিল। আর একটা কথা, সরকার রাতারাতি ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠে ছিল না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে মানুষের নৈতিক দাবি ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়। এখানে আর কোনো উপায় ছিল না।’

বাঁধন মনে করেন, সারা দেশের মানুষ যখন রাজপথে নেমে আসে, তখন ক্ষোভ থেকে জন্ম নেয় স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলন। গত বছর ৫, আগস্ট সরকার পতন হয়। এই নিয়ে বাঁধন লিখেছেন, ‘বিপ্লবের দিন যারা রাস্তায় ছিল না, তারা কখনই জনগণের আনন্দের ভাষা বুঝতে পারবে না। সেই মুহূর্তে সে কাপুরুষের মতো দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই আনন্দটি ছিল সত্যিকারের। আমি সেই জয়ের আনন্দ প্রতিটি হৃৎস্পন্দন দিয়ে অনুভব করেছিলাম। রাস্তায় এই ধরনের স্বাধীনতা এবং শক্তি অনুভব করার অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই হয়েছিল।’

জুলাই বিপ্লবের পরে কি হয়েছিল এই প্রসঙ্গে টেনে তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, বিপ্লবের পরে অনেক কিছু ঘটেছিল, এবং সেগুলো সবই সুখকর অনুভূতির ছিল না। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে সময়ের প্রয়োজনে জুলাই বিপ্লব সঠিক জিনিস ছিল।’

সম্প্রতি এই অভিনেত্রী গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারিনি। জুলাই বিপ্লবের পর আমি আশা রাখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু ভুল করেছিলাম। এই দুর্নীতিগ্রস্ত, পিতৃতান্ত্রিক দেশে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটাই সত্যি, এটাই বাস্তবতা।’

এদিকে কদিন আগেই কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও নিগ্রহের ঘটনা নিয়েও প্রতিবাদ করেন বাঁধন। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘এই দেশে কি আমি নিরাপদ। উত্তরটা সহজ নয়। এখানে বেঁচে থাকার জন্য আমরা জী করি। আমরা সহ্য করি মানিয়ে নেই।’

সেই সময় তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘আমি কতবার কত ধরনের অনলাইন হুমকি পেয়েছি। ঘৃণা, গালিগালাজ, কুৎসা রটানো, হয়রানি—তাতে কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? না। কারণ, এই দেশে অনেকেই বিশ্বাস করে, আমি এসব প্রাপ্য।’

ভিওডি বাংলা/ এমএইচপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ছাত্রসমাজই প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের চালিকা শক্তি- মির্জা ফখরুল
ছাত্রসমাজই প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের চালিকা শক্তি- মির্জা ফখরুল
সারজিসরা নেতা নয়, তারা অভিনেতা: ফজলুর রহমান
সারজিসরা নেতা নয়, তারা অভিনেতা: ফজলুর রহমান
পৃথিবীর কোন আইনে আছে ব্যক্তিকে সংবিধানের ওপর স্থান দিতে হবে : শেখ ফরিদ
পৃথিবীর কোন আইনে আছে ব্যক্তিকে সংবিধানের ওপর স্থান দিতে হবে : শেখ ফরিদ