• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

দুর্গাপুরে বর্ষায় বেড়েছে ছাতার কদর ব্যস্ত মেরামতকারি

   ১৭ জুলাই ২০২৫, ০১:১৬ পি.এম.
দুর্গাপুরে ব্যস্ত ছাতা মেরামতকারি

মো: রমজান আলী রাজশাহী ব্যুরো 

প্রতি বছর আষাঢ়- শ্রাবণ অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দোকান গুলোতে  ছাতা বিক্রয় ও পুরনো ছাতা মেরামতের হিড়িক পড়ে যায়। এবারো তার বেতিক্রম নয়। ইতিমধ্যে ছাতা মেরামতকারিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।

উপজেলার দুর্গাপুর সদরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এবারে আষাঢ়ের শুরু থেকেই  ছাতার দোকান গুলোতে ছাতা বিক্রির শুরু হয়েছে। গ্রামগঞ্জের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে ছাতা ক্রয়ের জন্য আসছেন এসব উপজেলার হাট বাজারের দোকান গুলোতে। টিপটিপ এই বৃষ্টির ফলে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন হাট বাজারে বিভিন্ন ছাতার দোকানে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।

এছাড়াও ছাতা বিক্রির পাশাপাশি বেড়েছে ছাতা মেরামত। উপজেলার সিংগা বাজার, কানপাড়া, আমগাছী, বেলঘরিয়া, আলীপুর হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেশাজীবি না হলেও বর্ষা মৌসুমে ছাতা মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক দরিদ্র পরিবারের বেকার যুবক, বৃদ্ধ ও অন্য বয়সের মানুষ।

পৌর বাজারের ছাতা ব্যবসায়ী আসলাম জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় একটানা বৃষ্টি না হলেও টিপটিপ বৃষ্টির পরিমানটা এবার বেশি। তাই ছাতার চাহিদাটাও বেশি। মোটামুটি ছাতা বিক্রি হচ্ছে।

ছাতা বিক্রেতা আব্দুস সামাদ জানান, ছাতার দাম তুলনামূলক বেশি। তার পরেও যথেষ্ট ছাতা বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাতা বেশি ক্রয় করছেন।

উপজেলার আলীপুর বাজারের ছাতা বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রং-বেরংঙের ছাতা কিনতে বেশি পছন্দ করে। এবছর কোয়ালিটি অনুসারে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত প্রতিটি ছাতা বিক্রি হচ্ছে।

বিশেষ করে শংকর, রহমান, মুন এই নামকর ছাতাগুলো একটু বেশি বেক্রি হচ্ছে। তার দোকানে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা দামের ছাতা রয়েছে।

ছাতা ক্রয় করতে আশা সিংগা গ্রামের শরিফুর ইসলাম বলেন, ছাতার দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তিনি মুন ব্যান্ডের একটি ফোল্ডিং ছাতা কেনের ৭৫০ টাকা দিয়ে।

বহরমপুর গ্রামের ইউসুব আলী বলেন, আগে আমরা কাঠের ডান্টি আলা ছাতা কেনেছি। সেই ছাতা ১০-১২ বছরেও কিছু হয়নি। এখন ছাতা কিনলে এক বছরি যায় না। কিছুদিন যেতে না যেতেই নষ্ট হয়ে যায়। এখনকার ছাতার কাপড় পাতলা, খিল, ডান্টি অত্যান্ত হলকা।

দুর্গাপুর মসজিদ মার্কেটে ছাতা মেরামতকারী সৈয়দ আলী বলেন, পুরনো ছাতা মেরামত বেশ ভালোই হচ্ছে। অন্যসময় তেমন কাজ না থাকলেও আষাঢ়ের শুরু থেকেই মোটামুটি কাজ হয়। প্রতিটি ছাতা প্রকার ভেদে মেরামত পারিশ্রমিক নেন ৫০ থেকে ১৫০ টাকা।

টেকনিশিয়ান মফিজ উদ্দিন জানান, আষাঢ়ের শুরু থেকে তারা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামতের কাজ করেন। বর্তমানে ছাতা মেরামত করে প্রতিদিন গড়ে তিনি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করছেন।


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সভাপতি পদের জন্য সিভি জমা দিলেন বিএনপি নেতা
সভাপতি পদের জন্য সিভি জমা দিলেন বিএনপি নেতা
কাকন বাহিনীর আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৩
কাকন বাহিনীর আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৩
যশোরের হত্যা মামলার ৫ আসামি আটক
যশোরের হত্যা মামলার ৫ আসামি আটক