রাজশাহী বাঘায় পদ্মায় নতুন পানি, জেলেরা মাছ ধরতে ব্যস্ত


রাজশাহী ব্যুরো
নতুন পানি আসায় জেলেরা মাছ ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহ থেকে পদ্মার নতুনভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুনভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নদী বেষ্টিত রাজশাহীর বাঘার পদ্মার চর। নদী ভাঙনগ্রস্ত ও সহায়সম্বলহীন মানুষরাই চরে অবস্থান করে। কিছু কিছু চরে স্থায়ী জনবসতি গড়ে উঠেছে। আবার কিছু কিছু চরে অস্থায়ী বসতি রয়েছে।
বন্যা ও বর্ষা মৌসুমে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ফলে ওই সব নিচু চর এলাকায় স্বাভাবিকভাবে বসবাস করা সম্ভব হয় না। তবুও তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে। এরমধ্যে জাল পেতে মাছ ধরতে দেখা গেছে।
এসব চরে জনবসতি বেশি এবং বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ হয়ে থাকে। কোনো চরে ভরা জোয়ারের পানির প্লাবন থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নেই। ওই সব চরে ফসল উৎপাদনের বিষয়টি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। চর এলাকার মানুষেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে যেমনি মিলেমিশে বসবাস করছে, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে আছে। তাই সম্পদের মালিকানা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে অনেক সময়। বর্ষা মৌসুমে তারা মাঠে কোন কাজ না থাকায় মাছ ধরে জীবিকা নির্ভর করে।
বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে ১৫টি চর রয়েছে। ওইসব চরের বেশির ভাগ বাসিন্দা ভূমিহীন অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। তারা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির খামখেয়ালি রূপকে বরণ করে বসবাস করছে। আর এদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ শুকনো মৌসুমে কৃষি কাজ আর বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
চরের প্রভাবশালী মহল নামে-বেনামে খাসজমির বন্দোবস্ত নিয়ে যাচ্ছে অহরহ। চর এলাকায় যারা ভূমির মালিকানায় কর্তৃত্ব করেন তারা চর ছেড়ে মূল ভূখণ্ডে বসবাস করেন এবং অনেক ক্ষেত্রে কৃষির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না হওয়ায় তারা চরের ভূমির স্থায়ী উন্নয়নে মনোযোগী হন না। ফলে চরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক মন্থর। চরে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি।
পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, গতবার যে, হারে বন্যা হয়েছিল। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে না নিতেই আবারও পদ্মায় নতুনভাবে পানি বাড়া শুরু করেছে। ফলে আমরা আংকিত রয়েছি। এছাড়া কয়েক বছরের ব্যবধানে পদ্মার ভাঙনে প্রায় সহস্রাধিক বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, বিজিবি ক্যাম্প, হাজার হাজার বিঘা আবাদি-অনাবাদি জমি চলে গেছে পদ্মার গর্ভে। এ ভাঙনে গৃহহারা হয়েছে হাজারো পরিবার।
চকরাজাপুর চরের মিলন আহম্মেদ জানান, ৮ বছরে আমার দাদার প্রায় ১০ বিঘা, আতার পাড়ার সোবহান মোল্লার ৭৫ বিঘা, সাধু ডাক্তারের ৫০ বিঘা জমি, আনোয়ার হোসেনের ৩০ বিঘাসহ গাছপালা বিলিন হয়েছে পদ্মার ভাঙনে। চলতি বর্ষা মৌসুমে কি হবে বলা যাচ্ছেনা। তবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকের মধ্যে আছি।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, পদ্মার চরের মধ্যে ১৫টি চর নিয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছে। পদ্মায় নতুন পানি বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষ আতংকিত হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
"জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস" উপলক্ষে কুড়িগ্রামে প্রতীকী ম্যারাথন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
"জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫" উৎযাপন উপলক্ষে কুড়িগ্রামে প্রতীকী …

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসরে অভিযানে আটক ৮
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান …
