চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বাড়বে ৩০ শতাংশ: নৌ উপদেষ্টা


নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমদানি-রপ্তানিতে গড়ে ৩০ শতাংশ ট্যারিফ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে তিনি ট্যারিফ বাড়ানোর কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে চায়। তবে বিদেশিদের টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলেও বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। গত ৭ জুলাই সাইফ পাওয়ার টেক থেকে নিয়ে বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব নৌবাহিনীকে দেওয়া হয়। এরপর নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ২০০ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে এখন। এই কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এনসিটি নিয়ে আপনারা বহু আলোচনা শুনেছেন। আমিও এখানে টেকওভার করার পর থেকে আলোচনাগুলো শুনছি। ১৭-১৮ বছর যারা এনসিটিতে ছিলেন আমি বলবো যে ভালো কাজই করেছেন। খারাপ করেননি। তারা তাদের মতো কাজ করেছেন। কিন্তু তাদের থেকে আরও বেশি ইফিশিয়েন্ট করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
সিঙ্গাপুরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে বেশিরভাগ পোর্টই প্রাইভেটলি পরিচালনা হচ্ছে। আমাদের যদি ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে হয় তাহলে বাইরের টেকনোলজিস আনতে হবে। নিজেরা নিজেরা করছি। নিজেরা অনেক ইফিশিয়নটলি করছি। এ ইফিশিয়েন্সি বাড়ানোর আমাদের দরকার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করানো। একটা পোর্ট তখনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করবে যখন একটা আন্তর্জাতিক অপারেটর আসবে।’
সাখাওয়াত বলেন, ‘অপারেট একটা ব্যাপার। আর পরিচালনা করা আরেকটা বিষয়। বন্দর আমরাই পরিচালনা করবো। আমরা শুধু এনসিটি আগে যাকে অপারেট করতে দিয়েছিলাম তার জায়গায় হয়তো আরেকজনকে দিচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ইফিশিয়েন্সি বাড়াবার জন্য। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো ইন্টারেস্ট নেই। আমি চট্টগ্রামের বাসিন্দাও না।’
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ