• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই সিলিন্ডার বোতলে গ্যাস বিক্রি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি    ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৭ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায়  মেসার্স ফুলজোর এলপিজি ফিলিং ষ্টেশন এবং কনভার্সন সেন্টার, (এলপিজি) সার্ভিস নামের এই প্রতিষ্ঠানটি ফিলিং স্টেশনে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত সিলিন্ডার বোতলে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে এসব বহনযোগ্য বোতলে ভর্তি করে এলপিজি গ্যাস বিক্রি করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। 

এতে যে কোনো সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে তাদের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। অথচ বিস্ফোরক আইনে বলা আছে 'স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ কাজে নিয়োজিত এলপিজি বিতরণ স্টেশন হতে মোটর যানে বা অন্য কোনো স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিনের সঙ্গে সংযুক্ত জ্বালানি ধারণ পাত্র ব্যতীত অন্য কোনো বহনযোগ্য পাত্রে এলপিজি ভর্তি করা যাবে না। আর এ আইন ব্যাহত হলে ২-৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অন্যথায় ছয় মাস কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেসার্স ফুলজোর এলপিজি ফিলিং স্টেশন এর লাইসেন্সের মেয়াদ গত ৪ মাস পূবে উত্তির্ন হয়েছে বর্তমান অবৈধ ভাবে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার লাইসেন্স নম্বর ৮৮-৬১-১-১১১-০০০০৭, প্রাঃ মোঃ আজিজুল হক (শান্ত) দেশে না থাকার কারনে ম্যানেজারা প্রতিনিয়ত ব্যাপক হারে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা সিলিন্ডার বোতলে গ্যাস বিক্রি করে আসছে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং ভয়ংকর দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির  আশঙ্কা রয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মচারী এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন যানবাহনে গ্যাস সরবরাহের পাশাপাশি সিলিন্ডারের বোতলে গ্যাস বিক্রি করেন তারা। সিলিন্ডার বোতলে গ্যাস বিক্রি করা কোন নিষেধ আছে কিনা তাদের জানা নাই।

সেখানে ক্রেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, গ্যাস বিক্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে সিলিন্ডার গ্যাস নিতে গেলে ১ হাজার পাঁচ শত টাকা লাগে। কিন্তু এখানে শুধু ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা হলেই গ্যাস পাওয়া যায়। মেসার্স ফুলজোর এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে মোঃ আশিক নামে এক ব্যক্তি  সিলিন্ডার বোতলে গ্যাস ক্রয় করে বের হওয়ার সময় কত টাকার গ্যাস ক্রয় করলেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১২ লিটারের গ্যাস-সিলিন্ডার দোকান থেকে নিলে ১৪শ টাকার বেশি লাগবে। আমি এখান থেকে  ৭০০ শত টাকায় গ্যাস ক্রয় করেছি। তবে এভাবে গ্যাস নেওয়া অনিরাপদ ও অপরাধ সে বিষয়ে তারা অবগত নন বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তির প্রক্রিয়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ভর্তিকালীন সময় বিস্ফোরণ হয়ে শতভাগ মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে।

মেসার্স ফুলজোর এলপিজি ফিলিং স্টেশন কর্মরত মোঃ সাইদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি একা চাকরি করি না আমরা আঁট ঘন্টা করে তিন জন ডিউটি করি। আমাদের মালিক বিদেশে থাকে সিলিন্ডার বোতলে আমি  গ্যাস বিক্রি করি নাই, অন্য কেও হয়তো করেছে। আশিক নামে এক ব্যক্তি ৭০০ শত টাকার গ্যাস সিলিন্ডার বোতলে ক্রয় করে নিয়ে গেলো তার সাক্ষাৎকার আছে এই বিষয়টি তাকে জানালে, তখন সে আর কোন কথার উওর না দিয়ে চলে যায়।

এবিষয়ে মেসার্স ফুলজোর এলপিজি ফিলিং স্টেশন প্রাঃ মোঃ আজিজুল হক (শান্ত) সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।

ম্যানেজার মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বললে সে বলে রাতে আমি ছিলাম না রাতে ডিউটিতে যে ছিলো সে তুলেছে আমি নিষেধ করছি আর সিলিন্ডার বোতলে গ্যাস বিক্রি করবে না।

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সত্য হলে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজাপুরে মৎস্য সপ্তাহে জেলেদের উৎসব
রাজাপুরে মৎস্য সপ্তাহে জেলেদের উৎসব
যশোরে প্রতিবেশী ভাবীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালেন দেবর
যশোরে প্রতিবেশী ভাবীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালেন দেবর
সৈয়দপুরে পৌর কর্মকর্তার উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সৈয়দপুরে পৌর কর্মকর্তার উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ