পাঁচ দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

অবশেষে শুরু হয়েছে পাঁচ দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার কার্যক্রম। তবে, আইনি খসড়া প্রস্তুত হলেও, নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে নতুন ব্রিজ ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে দুই বছর। যাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দিবে সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ভালো নজির স্থাপন করার চ্যালেঞ্জ আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে।
দীর্ঘদিনের আলোচনা সমালোচনার পর অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে সম্পদমান পর্যালোচনা করা দুর্বল ৫টি ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া। ফার্স্ট সিকিউরিটি, সোশ্যাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও গ্লোবাল ব্যাংককে একসাথে নিয়ে তৈরি করা হবে নতুন একটি ব্রিজ ব্যাংক। যার মেয়াদ হবে দুই বছর। এজন্য আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন ও মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনের খসড়া প্রস্তুত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আরজেএসসি থেকে একীভূত হওয়া নতুন ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার পর তার লাইসেন্স দিবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপরই শুরু হবে মূল কার্যক্রম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র শাহরিয়ার হোসেন বলেন, আরজেএসসি, যেটা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস ওদের একটি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এ প্রক্রিয়াগুলো শেষ হলেই একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আইনে যেটা বলা আছে, ব্রিজ ব্যাংক একটা টেম্পোরারি অ্যারেঞ্জমেন্ট। এটা দুই বছর ব্রিজ ব্যাংক হিসেবে থাকবে, এর মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী, পুরোনো পাঁচ ব্যাংকে দায় ও সম্পদ হস্তান্তর হবে নতুন ব্যাংকের নামে। এরপর আলাদা করা হবে ব্যাংকের ভাল ও মন্দ সম্পদ। এর মধ্য থেকে ভালো সম্পদ ব্রিজ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে রেখে খারাপ সম্পদ দেয়া হবে তৃতীয় পক্ষের কাছে। আর ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করবে সরকার।
ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র শাহরিয়ার হোসেন আরও বলেন, গুড ব্যাংকগুলো সাধারণত মার্জ করা হয়, গুড পার্টটা। আর ব্যাড পার্টটা থাকে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে। বাংলাদেশে এখনো এ ধরনের প্রতিষ্ঠান নেই, তবে আইন হওয়ার পর এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। তখন তারা খারাপ সম্পদ কিনে নেবে এবং সেগুলোর মাধ্যমে সম্পদগুলো পুনরুজ্জীবিত করবে।
বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, গুড অ্যাসেট আর কতটুকুই বা থাকবে! এদের প্রায় ৯৩–৯৪ শতাংশই তো ব্যাড অ্যাসেট। এ সামান্য গুড অ্যাসেট দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। বরং এগুলো একীভূত করার পর জনগণের আস্থা আরও নষ্ট হতে পারে, লোকজন হয়তো আসবে না।
এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের আমানতকারীরা অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তা পেলেও শঙ্কায় ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ভিওডি বাংলা/ এমপি