মোটরসাইকেল হেলমেটের যত্নে কিছু সহজ টিপস


মোটরসাইকেলের হেলমেট শুধু সেফটি গিয়ার নয়; এটি বাইকারের জীবন রক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। দুর্ঘটনার সময় মাথাকে সুরক্ষিত রাখতে হেলমেটের বিকল্প নেই। তবে অনেকেই হেলমেট ব্যবহার করলেও নিয়মিত পরিচর্যা করেন না, যার ফলে হেলমেট অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং এর কার্যক্ষমতা কমে।
হেলমেট পরিষ্কার করার নিয়ম:
ভিতরের অংশ:
অধিকাংশ হেলমেটের ফোম ও কাপড় আলাদা করা যায়। এগুলো শ্যাম্পু বা হালকা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।
যেসব হেলমেটের ইননার অংশ খুলে ফেলা যায় না, সেগুলো ভেজা কাপড় ও স্যানিটাইজার/ডেটল দিয়ে মুছুন।
বাইরের অংশ:
শ্যাম্পু বা ওয়াশিং জেল ব্যবহার করে নরম কাপড় দিয়ে মুছুন।
কঠোর কেমিক্যাল বা শক্ত কাপড় ব্যবহার করবেন না।
ভাইজর বা গ্লাস:
প্রথমে পানি বা এয়ার দিয়ে ধুলো ঝরিয়ে নিন।
তারপর নরম কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছুন।
এয়ার ভেন্ট:
নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ধুলো জমে লকিং জয়েন্ট ও ভাইজর ল্যাচ নষ্ট হতে পারে।
ব্রাশ বা কটন বাড দিয়ে পরিষ্কার করুন।
হেলমেট পরিষ্কারের সময় যা করবেন না:
সাবান বা শক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না।
শক্ত কাপড় বা শুকনো টিস্যু দিয়ে মুছবেন না।
পার্টস খুলতে জোর করবেন না।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লু ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজনে শুধু রাবার গ্রেড গ্লু ব্যবহার করুন।
হেলমেট সংরক্ষণের নিয়ম:
হেলমেট সবসময় আলো-বাতাস চলাচল করা শুষ্ক স্থানে রাখুন।
ড্রয়ার বা বন্ধ জায়গায় রাখলে ফাঙ্গাস ও ভ্যাপসা গন্ধ হতে পারে।
মাঝে মাঝে রোদে দিলে ঘামের গন্ধ দূর হয়।
ভেতরে পাতলা রুমাল দিলে প্যাডিং দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
হেলমেট কবে পরিবর্তন করবেন?
সাধারণ হেলমেট ১ বছর, স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট ২-৩ বছর ব্যবহার করা যায়।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হেলমেট ব্যবহার করবেন না।
দীর্ঘদিন ব্যবহারে বাইরের শেল দুর্বল বা ভিতরের ফোম আলগা হলে হেলমেট যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে পারবে না।
উল্লেখ্য: হেলমেট শুধু সুরক্ষার প্রতীক নয়, এটি বাইকারের রুচির প্রতিফলনও। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও যত্নে হেলমেট দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হয় এবং দুর্ঘটনার সময় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ভিওডি বাংলা/জা