কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়


কোষ্ঠকাঠিন্য হজমসংক্রান্ত একটি সাধারণ সমস্যা। হঠাৎ হঠাৎ এটি হওয়া স্বাভাবিক হলেও, নিয়মিত হলে উপেক্ষা করা উচিত নয়। তবে কিছু ঘরোয়া কৌশল মেনে সহজেই এটি প্রতিরোধ বা কমানো সম্ভব। ফল, শাক-সবজি এবং হোল গ্রেইন খাদ্য খেলে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, মল নরম হয় এবং অন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক থাকে।
খাদ্যাভ্যাসে ফাইবার যোগ করুন: ফাইবার হলো কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান শত্রু। এটি মলকে নরম করে এবং সহজে বের হতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল, শাক-সবজি, ডাল এবং হোল গ্রেইন ফুড রাখুন।
দ্রবণীয় ফাইবার: ওটস, আপেল, তিসি-মল নরম করতে সাহায্য করে।
অদ্রবণীয় ফাইবার: গমের ভুসি, পাতাযুক্ত শাক-সবজি-মল পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও মলত্যাগ সহজ করে।
হাইড্রেটেড থাকুন: শরীরের পানির অভাব কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়। ডিহাইড্রেশনের ফলে কোলন অতিরিক্ত পানি শোষণ করে, মল শক্ত হয়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন। বিশেষ করে সকালে হালকা গরম পানি খেলে মলত্যাগ সহজ হতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম: হালকা শারীরিক কার্যকলাপ অন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করে। দ্রুত হাঁটা, যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং-এর মতো ব্যায়াম হজমে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হজম শক্তি উন্নত করে।
টয়লেটের রুটিন তৈরি করুন: শরীর ধারাবাহিকতার ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন একই সময়ে বাথরুমে যাওয়া (বিশেষ করে খাবারের পরে) অন্ত্রকে প্রশিক্ষিত করে। তবে তাগিদ অনুভব করলে তা উপেক্ষা করবেন না, কারণ মলত্যাগ না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে পারে।
আলুবোখারা ও ডুমুর: ফাইবার ও প্রাকৃতিক যৌগে সমৃদ্ধ, অন্ত্রের কার্যক্রম উদ্দীপিত করে।
চিয়া ও তিসি বীজ: ভিজিয়ে খেলে জেলের মতো হয়ে মল নরম করে এবং সহজে বের হতে সাহায্য করে।
ঘরোয়া এই উপায়গুলো নিয়মিত মেনে চললে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রাকৃতিকভাবে কমানো সম্ভব এবং হজম শক্তি উন্নত হয়।
ভিওডি বাংলা/জা