ইবিতে স্থায়ী মন্দির ও দুর্গাপূজার ছুটি বৃদ্ধির দাবি সনাতনী শিক্ষার্থীদের


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে স্থায়ী মন্দির স্থাপন, আসন্ন দুর্গা পূজার ছুটি বৃদ্ধি এবং ছুটির মধ্যে বিভাগের পরীক্ষা বন্ধ রাখতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্যালয়ে এ স্মারকলিপি জমা দেন ইবি পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিনিধি দল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায়-সহ অর্ধশতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী।
আবেদন পত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থায়ী উপাসনালয় না থাকায় ধর্মীয় কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি বহুসাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সহনশীলতার অনন্য উদাহরণ, যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী সমান সুযোগ ও অধিকার পায়। ক্যাম্পাসে একটি স্থায়ী মন্দির নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
সনাতনী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো দুর্গাপূজা। এ বছর পূজা শুরু হচ্ছে ২৮ সেপ্টেম্বর, কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাস বন্ধ হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের জন্য মাত্র তিন দিনের ছুটি আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসে। অনেকের বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে পৌঁছাতে প্রায় দুই দিন সময় লাগে। ফলে, একজন শিক্ষার্থী ৩০ তারিখে রওনা দিলে তার বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে পূজা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। এটি নিঃসন্দেহে একটি অপরিপক্ব প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি। এর কারণ সম্ভবত পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় সব ধর্মের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত না করা। বর্তমান প্রশাসনে কোনো সনাতনী ব্যক্তিকে কোনো পর্যায়ে রাখা হয়নি।
তারা আরো বলেন, আমরা স্থায়ী মন্দিরের জন্য আবেদন এবং একটি স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছি। উপাচার্য আমাদের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ