এবার নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন আসিফ আকবর


বাংলা সংগীতের ‘যুবরাজ’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর এবার মাঠে ফিরছেন ভিন্ন ভূমিকায়। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এ গায়ক কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদেরও প্রার্থী হবেন। তারপর কেটে গেছে লম্বা সময়। ভক্ত-অনুরাগীদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য গান। দর্শকমহল থেকে পেয়েছেন ভালোবাসা।
আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রে শো নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও আসিফ ই-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিসিবির পরিচালক পদের মনোনয়নপত্র বিতরণ এবং রোববার জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আসিফ আকবর গানের মানুষ হলেও এক সময় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ইচ্ছে ছিলে ক্রিকেটার হবার। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন কৈশোরের উচ্ছল সময়টায়। সেই স্বপ্নপূরণ না হলেও ক্রিকেট নিয়েই তার জন্য আসলো এক সুখবর। এবার কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বিসিবির পরিচালক পদের জন্যও প্রার্থী হবেন।
কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত হলেও আসিফ আকবর একসময় ছিলেন ক্রিকেটার। নব্বই দশকের শুরুতে তিনি ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে ইয়ং পেগাসাসের হয়ে খেলেছেন।
স্কুলজীবন থেকেই কুমিল্লা লীগে অংশ নিয়েছেন। কুমিল্লা জিলা স্কুলে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেটে এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে আন্তঃকলেজ ক্রিকেটে তিনি ছিলেন অধিনায়ক। খেলা ছেড়ে গানে মন দেননি, তাই মাঠের সঙ্গে তার যোগাযোগ এখনও অব্যাহত।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আসিফ আকবর বলেছেন, কুমিল্লার খেলাধুলার দারুণ ঐতিহ্য ছিল একসময়। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি-সব খেলায় আমাদের দাপট ছিল। অথচ ঢাকার এত কাছের জেলা হয়েও আমরা সব হারিয়েছি। কুমিল্লায় ৬ বছর ধরে ক্রিকেট লীগ হয় না, এটা ভাবা যায়! বিসিবিতে যদি আসতে পারি, সবার আগে আমার লক্ষ্য থাকবে কুমিল্লার ক্রিকেটকে আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া, যেন জাতীয় পর্যায়ে আমাদের প্রতিনিধিত্ব থাকে।’
অনেকে জেলা ও বিভাগের নির্বাচিত বিসিবি পরিচালকরা নিজের এলাকার ক্রিকেট উন্নয়নে নজর দেয় না। এ ক্ষেত্রে আসিফ ব্যতিক্রম হতে চান।
তিনি বলেছেন, কুমিল্লার ছেলেমেয়েরা এখন আর মাঠমুখী নয়। মাদক একটা ভয়ংকর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হয়েছে। এসব হয়েছে শুধু বাচ্চাদের মাঠমুখী করা যায়নি বলে। আমাদের সন্তানেরা খেলার জায়গা পায় না, অথচ আমরা স্টেডিয়াম ভাড়া দিই ঢাকার ফুটবল ক্লাবকে! আমি চেষ্টা করব মাঠে খেলা ফিরিয়ে কুমিল্লার ক্রিকেট এবং তরুণসমাজের জন্য কিছু করতে।
কেবল কুমিল্লা নয়, বিসিবির পরিচালক হলে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার ক্রিকেটেও অবদান রাখতে চান আসিফ।
তিনি জানান, কুমিল্লার পাশাপাশি নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদুপর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ পুরো চট্টগ্রাম বিভাগেই ক্রিকেট প্রতিভার অভাব নেই। আমি মনে করি প্রতিটি জেলার ক্রিকেট নিয়েই ভিন্ন কিছু করার সুযোগ আছে।
আসিফ আকবর বলেন, নিজে কাউন্সিলর হওয়ার জন্য আগ্রহী ছিলেন না। কুমিল্লার সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার ও সংগঠকদের অনুরোধে তিনি শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব নেন। ‘ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের প্রতি সব সময়ই একটা আবেগ কাজ করে আমার। নিজে খেলেছি, খেলাটাকে ভালোবাসি...হয়তো সে জন্যই। তবে কাউন্সিলর হওয়ার বা বিসিবির নির্বাচন করার আগ্রহ আমার কখনোই ছিল না। এবার কুমিল্লার সংগঠক, সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়েরা মিলে আমাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন আমি যেন দায়িত্বটা নিই। সে কারণেই কাউন্সিলর হয়েছি, নির্বাচনও করব।
ভিওডি বাংলা/জা