এই উৎসবে নিজ হাতে বানান সুস্বাদু গোলাপজাম


গোলাপজাম অনেকটা গুলাব জামুনের মতো হলেও এর ভেতর নরম আর হালকা লালচে-বাদামি হয়। বাঙালির উৎসবে এটি একটি প্রিয় ডেজার্ট। আর যদি সেটা নিজেই বাড়িতে তৈরি হয়, আনন্দই দ্বিগুণ হয়। বর্তমান সময়ে ঘরে তৈরি ডেজার্টের চাহিদা বাইরের তুলনায় বেশি। এই ছুটিতে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের অবাক করতে সহজ এই রেসিপি চেষ্টা করতে পারেন।
উপকরণ
ডো-এর জন্য: ডো তৈরিতে লাগবে খোয়া (মাওয়া) ১ কাপ, ময়দা ২ টেবিলচামচ, সুজি ১ টেবিলচামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ঘি/তেল ১ টেবিলচামচ এবং দুধ ২–৩ টেবিলচামচ (ডো বাঁধার জন্য)।
সিরার জন্য: মিষ্টি বানাবেন সিরা লাগবে না? এতে চিনি ২ কাপ, পানি ২ কাপ, এলাচ ২–৩টা, গোলাপ জল আধা চা-চামচ।
ভাজার জন্য: লাগবে সাদা তেল-প্রয়োজনমতো।
প্রস্তুত প্রণালী
চিনি ও পানি জ্বাল দিন। ৮–১০ মিনিট ফুটিয়ে পাতলা সিরা বানান। এলাচ ও গোলাপ জল দিয়ে নামিয়ে রাখুন। এলাচ দিয়ে বেশিক্ষণ ফুটাবেন না। খোয়া হাতে মেখে নরম করুন। এর সঙ্গে ময়দা, সুজি, বেকিং পাউডার ও ঘি মিশিয়ে নিন। অল্প অল্প দুধ দিয়ে মাঝারি নরম ডো বানান। ডো থেকে ছোট ছোট লেচি নিয়ে মসৃণ গোল বা লম্বাটে যেরকম চান সেরকম আকারে গড়ুন। খেয়াল রাখবেন—কোনও ফাটল যেন না থাকে, নাহলে ভাজার সময় ফেটে যাবে। কড়াইতে মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। এরপর গোলাপজামগুলো ধীরে ধীরে ছাড়ুন। খুব বেশি আঁচ হলে বাইরেটা পুড়ে যাবে ভেতরটা কাঁচা থাকবে। বাদামি–লালচে রঙ হলে তুলে গরম সিরায় ডুবিয়ে রাখুন। কমপক্ষে ২–৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তৈরি হয়ে গেল নরম গোলাপজাম।
এই গোলাপজাম ঠাণ্ডা বা হালকা গরম, দুইভাবেই পরিবেশন করা যায়। চাইলে ওপরে বাদাম ছিটিয়ে দিতে পারেন। গোলাপজাম আর গুলাব জামুনের পার্থক্য আছে। গোলাপজাম মূলত বাংলাদেশে জনপ্রিয়। আকারে একটু বড় বা লম্বাটে হয়। রঙ হয় লালচে–বাদামি। ভেতরটা তুলনামূলক নরম ও ভিজে থাকে। গোলাপ জল দিয়ে সিরা বানানো হয়, তাই হালকা গোলাপের ঘ্রাণ থাকে। আর গুলাব জামুন ভারত ও পাকিস্তানে বেশি জনপ্রিয়। আকারে ছোট ও গোল হয়। রঙ হয় গাঢ় বাদামি বা প্রায় কালচে। ভেতরটা কিছুটা শক্ত বা স্পঞ্জি ধাঁচের। সাধারণত সিরায় গোলাপ জল না দিয়ে এলাচ বা কেশর ব্যবহার করা হয়।
ভিওডি বাংলা/জা