বৃষ্টির কারণে সবজির দাম কিছুটা বাড়তি


ভোর থেকে ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সারাদিনও বৃষ্টি দেখা গেছে। এতে বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে পানি জমে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় তারা কিছুটা বেশি দামে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, বৃষ্টি বা অন্য কোনো দুর্যোগ দেখেই বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে একযোগে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
দুই দিন আগে পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পটল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙার দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা ছিল। করলা, বেগুন, বরবটি, চিচিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। জালি কুমড়া ও লাউ বিক্রি হচ্ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) বৃষ্টির কারণে বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, উস্তা-১০০ টাকা, ধন্দুল-ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা। এছাড়া কচুরমুখি ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলু আগের দামে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগ রেললাইন সংলগ্ন কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আশরাফ আলী জানান, পাইকারি বাজারে সবজি সরবরাহ তুলনামূলকভাবে কম, এ কারণে তারা বাড়তি দামে কিনে আনছেন। তিনি আরও বলেন, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে, তবে বৃষ্টি কমলে দাম আবারও কমে যাবে।
এদিকে, মগবাজার বনলতা মার্কেটের ক্রেতা উম্মে হাবিবা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেকোনো দুর্যোগ বা বৃষ্টি দেখিয়ে বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন। গতকাল বিকেল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে, কিন্তু তার আগেই তো পাইকারি বাজারে মালামাল ঢুকেছে, তখন দাম বাড়ানোর কোনো কারণ ছিল না।
মধুবাগ বাজারের বিক্রেতা শামীম জানান, কাঁচা মরিচ ভারত থেকে আমদানি করা হয়। বর্তমানে দুর্গাপূজা হওয়ায় নতুন কনটেইনার আসছে না, তাই দাম বাড়ছে।
এভাবে, কাঁচাবাজারে সবজির দাম বৃদ্ধির পেছনে আবহাওয়া এবং আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি একটি বড় ভূমিকা পালন করছে, যার ফলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, বলছেন ব্যবসায়ীরা।
ভিওডি বাংলা/জা