• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

সঙ্গীর চুপ থাকা শুধু অভিমান নয়, হতে পারে মানসিক নির্যাতন

লাইফস্টাইল    ৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১১ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্ক মানে সবসময় মধুরতা নয়। ঝগড়া, মতবিরোধ বা অভিমান-এসব স্বাভাবিক। তবে কখনো কখনো সঙ্গী হঠাৎ চুপ হয়ে গেলে, আপনাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করলে এবং কোনো কথাই না বললে সেটা নিছক অভিমান নয়, হতে পারে ‘সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট’। অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে কথা না বলে মানসিকভাবে আঘাত করা।

মনোবিজ্ঞানী ড. আমেলিয়া কেলি বলছেন, এটি এক ধরনের মানসিক নির্যাতন। এই নীরবতা ব্যবহার করে কেউ অন্যজনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। যদিও নিজেকে শান্ত রাখার জন্য অল্প সময়ের জন্য চুপ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু অন্যকে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে চুপ থাকা ঠিক নয়।

নীরবতার সাধারণ কিছু রূপ:

কথা বলা বন্ধ, শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলা

মেসেজে দেরিতে বা কোনো জবাব না দেওয়া

ঘরের মধ্যে সঙ্গীকে ‘অদৃশ্য’ বানিয়ে রাখা

এই ছোট আচরণগুলোও মানসিকভাবে গভীর ক্ষতি করতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন:

পুরো চুপ থাকবেন না: নিজের অনুভূতি স্পষ্টভাবে জানান। সমস্যা বোঝার উদ্দেশ্য প্রকাশ করুন।

বুঝতে চেষ্টা করুন, কিন্তু প্রশ্রয় দেবেন না: কেন সঙ্গী এমন আচরণ করছে তা বুঝুন, কিন্তু খারাপ আচরণকে ভালোবাসা বা অভিমান মনে করবেন না।

কষ্টের কথা স্পষ্টভাবে জানান: নীরবতা কতটা কষ্ট দেয় তা খোলাখুলি বোঝান।

আলোচনার পথ খুলে দিন: ভবিষ্যতে একই পরিস্থিতি কিভাবে সামলাবেন তা নিয়ে কথা বলুন।

যদি সব চেষ্টা করেও সঙ্গী একইভাবে নীরবতা চালিয়ে যায়, তবে ভাবুন-এই সম্পর্ক কি আপনার জন্য ভালো কি না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সবসময় থাকা প্রয়োজন নয়; মানসিক শান্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মতবিরোধ সব সম্পর্কেই হয়, কিন্তু কথা বলে ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে তা সমাধান করা যায়। চুপ থেকে কাউকে শাস্তি দেওয়া ভালোবাসার পরিচয় নয়-বরং এটি সম্পর্কের ক্ষতির শুরু।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফোন যেভাবে আপনার বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছে
ফোন যেভাবে আপনার বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছে
কম তেলে কোন সবজি
কম তেলে কোন সবজি
অতিরিক্ত রাগ: লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়
অতিরিক্ত রাগ: লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়