৯ মাসে ২৯ নারী তারকার ৬৮টি গুজব শনাক্ত


বাংলাদেশে নারীদের ওপর অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক ও ডিজিটাল একটি উদ্বেগজনক সমস্যা হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ২৭৬ জন নারীর সঙ্গে সম্পর্কিত ৫৬৭টি অপতথ্য শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২১ শতাংশ গুজব নারীকে কেন্দ্র করে ছড়ানো হয়েছে।
বিনোদন জগতের নারীরা ডিজিটাল মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া তথ্যের সবচেয়ে বড় শিকার। অভিনেত্রী, মডেল, উপস্থাপক ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও, এআই-তথ্যকৃত কনটেন্ট, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ তথ্য এবং মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ২৯ নারী তারকার নামে অন্তত ৬৮টি অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে ৫০টি কনটেন্টে এআই বা ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। উল্লেখযোগ্য তারকাদের মধ্যে আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, মেহের আফরোজ শাওন, আজমেরী হক বাঁধন, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, তানজিম সাইয়ারা তটিনী, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, তাসনিয়া ফারিণ, মাহিয়া মাহি, শবনম বুবলী, অপু বিশ্বাস, পরীমনি, নাজনীন নাহার নিহা, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, মেহজাবীন চৌধুরী ও শবনম ফারিয়া।
ভুয়া কনটেন্টের ৩৬টি ঘটনায় ভারতীয় নারীর ফুটেজ ব্যবহার করে বাংলাদেশি তারকাদের ছবি দাবি করে ছড়ানো হয়েছে। সর্বাধিক গুজবের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান; তার ১১টি গুজবের মধ্যে ১০টি এআই-ভিত্তিক। সাদিয়া জানিয়েছেন, এই কাজ করা এক ধরনের ভয়াবহ অপরাধ। তিনি মনে করেন, সমস্যার সমাধানে যারা শিকার হচ্ছেন তারা একত্রিত হয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নারীরা আলাদা করে টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন কি না জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, তিনি ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার জন্য July আন্দোলনের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। এ কারণে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি আশা করেন, এটি সাময়িক এবং সত্য সামনে আসবে।
ভিওডি বাংলা/জা