যুক্তরাষ্ট্রে এক ফ্রেমে ঢালিউডের পাঁচ তারকা


গল্পটা এক স্থিরচিত্রের—কিন্তু সেই ছবিতেই লুকিয়ে আছে পুরো এক সিনেমার আবেগ। ছবিটিতে দেখা যায় ঢালিউড ইতিহাসের পাঁচজন জনপ্রিয় মুখকে, যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তারা হলেন—আহমেদ শরীফ, আমিন খান, আলেকজান্ডার বো, জায়েদ খান এবং মামনুন ইমন।
বিএফডিসি ও বাংলাদেশের সিনেমা থেকে দূরে থাকলেও মনেপ্রাণে তারা এখনও সিনেমাকেই বাঁচিয়ে রেখেছেন। সেটিরই প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে এই ছবিতে। যেখানে এক হয়েছেন ঢালিউডের নানা প্রজন্মের এই পাঁচ শিল্পী—চারজন নায়ক ও একজন খলনায়ক।
এই মিলন ও ছবির উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জানান, ‘নিউইয়র্কের বেলরোজ নামের একটি জায়গায় আমরা আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম। কিছুটা সময় আমরা স্মৃতিচারণ করেছি, আবেগে ভেসেছি। পুরো আড্ডাজুড়ে ছিল বাংলাদেশ ও সিনেমার কথা।’
আড্ডার সূত্রপাত প্রসঙ্গে জায়েদ খান আরও বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই এমন এক আড্ডার সুযোগ খুঁজছিলাম। আমরা সবাই এখানে বিচ্ছিন্নভাবে থাকি, একসঙ্গে বসা হয় না। বাংলাদেশে থাকাকালে সমিতির সেক্রেটারি হিসেবে মাঝেমধ্যে এমন আয়োজন করতাম। এবার আমিন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেই এই আড্ডার পরিকল্পনা করি।’
এই আড্ডাটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় ১৫ অক্টোবর সকালে)।
কিন্তু আড্ডার মূল আকর্ষণ ছিলেন ঢালিউডের কিংবদন্তি খলনায়ক আহমেদ শরীফ। তাকে ঘিরেই নায়কেরা ছবিটি প্রকাশ করেন।
জায়েদ খান বলেন, ‘পুরো আড্ডাজুড়ে শরীফ ভাই তার ৯০০ সিনেমা করার অভিজ্ঞতার নানা গল্প শোনালেন। আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। একপর্যায়ে ওনার চোখে পানি চলে আসে। আড্ডার শেষে আমি বললাম, এখনই ছবির শেষ দৃশ্য তোলা হোক। তখন ভিলেনকে ঘিরে ধরলাম আমরা নায়করা—যেন সিনেমার মতোই! আসলে আমরা ওনাকে অগ্রজ হিসেবে আগলে রেখেছি। অসাধারণ সময় কেটেছে।’
এই মিলন শুধু আড্ডাতেই সীমাবদ্ধ নয়। জায়েদ খান জানান, তারা পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই একসঙ্গে কাজ করার—‘সিনেমা না হলেও হয়তো ওয়েবসিরিজ হতে পারে। এমন পরিকল্পনা চলছে আমাদের মনে। এই ছবিটাই হয়তো তার প্রথম অধ্যায়।’
ভিওডি বাংলা/ আ