রাজবাড়ী কলেজে সহযোগী অধ্যাপক প্রভাষককে মারধর


রাজবাড়ী সরকারি কলেজে এক প্রভাষককে কলার ধরে টেনে নিচে নামিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ১০ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ এরিইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মারধরের অংশবিশেষ দেখা যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষক হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এ কে এম আজাদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “দুপুরে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিনকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার ধাক্কা দেন। কুতুব স্যার এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমি তার সঙ্গে ছিলাম। অভিযোগের প্রিন্ট নেওয়ার সময় অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল এসে আমাকে কলার ধরে টেনে নিচে নিয়ে যায় এবং কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমার ঘাড়, চোখ ও মুখে আঘাত লাগে। পরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই এবং মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
প্রভাষক কুতুব উদ্দিন বলেন, “পরীক্ষার ডিউটির সময় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার আমাকে ধাক্কা দেন। পরে আমি অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তখন মোস্তফা কামাল স্যার এসে আজাদুর রহমানকে ডেকে নিয়ে কিল-ঘুষি মারেন। ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকেও ঘুষি দেন। আমরা আজাদকে হাসপাতালে নিয়ে যাই, ওর ঘাড়-মুখে গুরুতর আঘাত লেগেছে।”
অভিযুক্ত শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোস্তফা কামাল, যিনি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, তিনি বলেন, “ওরা একজন শিক্ষককে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি জানতেই আমি তাদের কাছে যাই। তখন আজাদুর আমার সঙ্গে খারাপ আচরন করে, তাই কলার ধরেছি-কিন্তু মারধর করিনি।”
কোন শিক্ষককে হুমকি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার বাড়ি খুলনা, এখানে চাকরি করে। কিন্তু নাম বলেননি।”
রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইকরামুল করিম বলেন, “আমি শুনেছি দুই শিক্ষকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধরের বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না।”
এ ঘটনায় শিক্ষক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “একজন শিক্ষক আরেকজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে কলার ধরে মারধর করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা।”
ভিওডি বাংলা-কামাল হোসেন/জা