সঞ্চয়পত্র সার্ভার ব্যবহার করে জালিয়াতি

সঞ্চয়পত্রের সার্ভার ব্যবহার করে ভয়ঙ্কর জালিয়াতির চেষ্টা ধরা পড়েছে। অভিযোগ, সঞ্চয়পত্র ভাঙার মাধ্যমে অন্য গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি শনাক্ত করে জালিয়াতি আটক করেছে এবং মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, “এ পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে জিডি হয়েছে, এবং আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে গত বৃহস্পতিবার ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা হয়। চারদিন পর এটি ভাঙা হয় এবং টাকা নেওয়া হয় এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার অন্য একজনের অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা একই দিনে ব্যাংকের ঢাকার শ্যামলী শাখা থেকে উত্তোলন করা হয়।
একই দিনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ লাখ এবং এনআরবিআই ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙার চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যাংকের তৎপরতায় এগুলো আটকা পড়ে।
গত আগস্ট পর্যন্ত অনুমোদিত ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকদের কাছে তিন লাখ ৪০ হাজার ৭১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিস মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার শাখা থেকে এসব সঞ্চয়পত্র কেনা-বিক্রি হয়। ধরা পড়া জালিয়াতি কেবল মতিঝিল অফিসের লেনদেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, চিহ্নিত প্রতারণার ঘটনা তিনটি সার্ভার হ্যাক করে করা হয়েছে কিনা।
ভিওডি বাংলা/জা






