• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

রোজার কয়েক মাস আগেই আমদানি ফলের দাম আকাশছোঁয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাজারে রোজা শুরু হওয়ার কয়েক মাস বাকি থাকলেও আমদানি করা ফলের দাম ইতিমধ্যেই বেড়েছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারেও কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। তবে দেশি ফলের বাজার এখনও স্থিতিশীল রয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, খিলগাঁও, মতিঝিল টেলিফোন কলোনি, শাহজাহানপুর ও সেগুনবাগিচার বিভিন্ন ফলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, আপেল, আঙুর, কমলা, আনারসহ প্রায় সব আমদানি ফলের দাম আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফকিরাপুলের খুচরা ফল বিক্রেতা আবু রায়হান বলেন, “বাদামতলীর পাইকারি বাজারে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে কিছু ফলের ঘাটতিও তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে রোজার আগে আরও দাম বাড়তে পারে।”

সেগুনবাগিচার আরেক দোকানি হারুন বলেন, “ফল সরবরাহে গড়মিল হচ্ছে। রোজার সময় চাহিদা বাড়লে দাম তো আরও বাড়বে।”

ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, বাজারে ঘাটতি না থাকলেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। রোজার আগে এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ না হলে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। আরামবাগ থেকে টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজারে ফল কিনতে আসা গৃহিণী নাহিদা সাবিহা বলেন, “রোজা আসতে এখনো অনেক দেরি। এরই মধ্যে দাম বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা যায়।”

বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ২০০–২৩০ টাকা, কমলা ৩৫০–৩৮০ টাকা, ছোট কমলা ৩০০–৩২০ টাকা, নাশপাতি ৩০০–৩৩০ টাকা, আনার ৬০০–৬৫০ টাকা। তুলনামূলক ছোট আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৪৫০–৫০০ টাকা কেজি, আর পারসি মন ১২০০ টাকায়।

দেশে চাষ হওয়া ড্রাগনের দামও কেজিতে ২০–৩০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ২৫০–২৭০ টাকা, ছোট ড্রাগন ২০০–২২০ টাকায়।

অন্যদিকে দেশি ফলের দাম এখনও স্থিতিশীল। এক কেজি পেয়ারা বা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০০–১২০ টাকায়, দেশি মাল্টা ১২০–১৪০ টাকা, আমড়া ১২০–১৫০ টাকা, আমলকী ২০০–২৫০ টাকা, জলপাই ৮০–১০০ টাকা। আনারস প্রতি পিস ৩০–৪০ টাকা, আর এক হালি লেবু ২০–৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রোজার সময় চাহিদা বাড়ায় আমদানি ফলের দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এই পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সঞ্চয়পত্র সার্ভার ব্যবহার করে জালিয়াতি
সঞ্চয়পত্র সার্ভার ব্যবহার করে জালিয়াতি
ডিএসইতে ১০ কার্যদিবস পর লেনদেন ৫শ’ কোটি টাকার ঘরে
ডিএসইতে ১০ কার্যদিবস পর লেনদেন ৫শ’ কোটি টাকার ঘরে
২৪ ঘণ্টায় ভরিপ্রতি কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা!
২৪ ঘণ্টায় ভরিপ্রতি কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা!