বাঞ্ছারামপুরে র্যাব-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও বুলেটপ্রুফ ভেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর ২০২৫) ভোরে বাঞ্ছারামপুর থানাধীন মরিচাকান্দি বাজারের লঞ্চঘাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-৯ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুরের মধ্যবর্তী থোল্লাকান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনায় দুইজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় আতঙ্কের পরিবেশ। সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। এ অবস্থায় র্যাব-৯ এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, মরিচাকান্দি বাজারের লঞ্চঘাট এলাকায় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পরে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি আভিযানিক টিম যৌথভাবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে অভিযানে নামে। মিজান মেম্বারের তিনতলা ভবনের পিছনে ঝোপঝাড়ে তল্লাশি চালিয়ে ৪টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়।
বস্তাগুলো খুলে দেখা যায়, তাতে লুকানো আছে ৪৫টি দেশীয় অস্ত্র এবং ১৩টি দেশীয় তৈরি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮টি পাইপগানের বডি, ২টি বল্লম, ৮টি রামদা ও ২৭টি টেটা। র্যাবের সদস্যরা জানান, এসব অস্ত্র সম্ভবত সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল।
অভিযান শেষে উদ্ধারকৃত সব আলামত জিডি মূলে বাঞ্ছারামপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব-৯ জানায়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান চলমান রয়েছে।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, “র্যাব-৯ সর্বদা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করছি। জননিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
অভিযানের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির বাতাস বইছে। স্থানীয়রা র্যাব ও সেনাবাহিনীর এ সফল অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







