আইনগত ভিত্তি ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানত না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে বিষয়টি জেনেছি। ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে দাম বাড়িয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
এ বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আলোচনা করে কর্মপদ্ধতি ঠিক করব। এ সিদ্ধান্তের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।”
উপদেষ্টা আরও জানান, মঙ্গলবার ক্রয় কমিটির বৈঠকে টিসিবির জন্য ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাজার দরের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম দামে ব্যবসায়ীরা তেল সরবরাহ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা গতকালই কম দামে তেল কিনেছি, আজ বাজারে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করার যৌক্তিকতা দেখি না।”
ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা-এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই, তা আমাদের পদক্ষেপেই বুঝতে পারবেন।”
আইন লঙ্ঘন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না-জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “নিশ্চয়ই আইনগত সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ব্যবসায়ীরা কি সরকারের চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর হয়ে গেছে-এমন প্রশ্নে তিনি উত্তেজিত মন্তব্য এড়িয়ে বলেন, “এ ধরনের ধারণা-প্রসূত প্রশ্নের জবাব নেই।”
তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ থাকলে আলোচনার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সরবরাহ ব্যবস্থা আমরা বিঘ্নিত করতে চাই না।”
দাম বৃদ্ধি বিষয়ে মন্ত্রণালয় বা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন নেই-ব্যবসায়ী সংগঠনের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, “এটা তাদের কথা-আমরা একনলেজ করি না।”
রমজানের প্রস্তুতি বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে। তিনি জানান, আমদানি পর্যায়ের ঋণপত্র খোলা গতবারের তুলনায় বেশি, ফলে সরবরাহে সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, “চিনির দাম কমছে, ডালের দাম কমেছে ও ডিমের দামও কমেছে। যৌক্তিক সমাধানেই আমরা যাবো; অযৌক্তিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়।”
ভিওডি বাংলা/জা






