বার্ধক্য থামাতে ‘ন্যানোফ্লাওয়ার’ প্রযুক্তি

টেক্সাসের গবেষকরা বার্ধক্য থামানোর সম্ভাবনাময় একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন। তারা বিশেষ ক্ষুদ্র কণা ‘ন্যানোফ্লাওয়ার’ তৈরি করেছেন, যা মানবদেহের বৃদ্ধ কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
গবেষকদের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানব কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা ও কার্যক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে হৃদরোগ, স্নায়ুরোগসহ নানা বার্ধক্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এই ক্ষুদ্র ন্যানোকণা কোষের ক্ষতিকর অক্সিজেন অণু শোষণ করে এবং নতুন মাইটোকন্ড্রিয়া তৈরি করতে সহায়ক জিন সক্রিয় করে।
বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অখিলেশ গাহারওয়ার বলেন, “আমরা সুস্থ কোষকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা দুর্বল কোষকে মাইটোকন্ড্রিয়া দিয়ে সাহায্য করতে পারে। কোনো জেনেটিক পরিবর্তন বা ওষুধের প্রয়োজন নেই।”
গবেষণায় দেখা গেছে, ন্যানোফ্লাওয়ার ব্যবহার করলে কোষের শক্তি-উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বিশেষত স্মুথ মাংসপেশির কোষে শক্তি উৎপাদন ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেমোথেরাপি ক্ষতিগ্রস্ত হৃদপেশির কোষে বেঁচে থাকার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেনেটিসিস্ট জন সুকার বলেন, “এটি অসংখ্য রোগের চিকিৎসায় সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি। আমরা শুধু শুরু দেখেছি; ভবিষ্যতে আরও বড় আবিষ্কার আসবে।”
ন্যানোফ্লাওয়ার প্রযুক্তি মানুষের আয়ু বাড়ানো, বয়সজনিত রোগ প্রতিরোধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু পুনর্গঠনে নতুন দিগন্ত খুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
ভিওডি বাংলা/জা







