• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
আ. লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু : তারেক রহমান সব দল প্রস্তুত হওয়ার পর তফশিল চায় এনসিপি খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন রাষ্ট্রপতির স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান ইশরাকের জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার জুলাই হত্যাকারীদের ফেরানো আমাদের শপথ: প্রেস সচিব কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদে তারেক রহমানের আর্থিক অনুদান বেগম জিয়া গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন সংকট না হলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বিএনপি: রিজভী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে আমাদের শপথ : সালাউদ্দিন আহমদ

চড়া তেল-পেঁয়াজ, কমেছে শীতের সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৬ এ.এম.
ছবি-ভিওডি বাংলা

সরকারের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়িয়েছেন। নতুন মৌসুম শুরুর শেষ মুহূর্তে আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। শেষ দুই-তিন দিনে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে পৌঁছেছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। পেঁয়াজের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণেই পুরনো পেঁয়াজের দাম চড়েছে।
 

তবে বাজারে মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। যদিও সেটা পরিমাণে খুব অল্প। আর পাতাসহ পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
 
অন্যদিকে, বাজারে কিছুটা কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সরবরাহ বাড়তে থাকায় শীতের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে বলেও জানান বিক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে লম্বা বেগুন ৮০-১০০ টাকায় এবং গোল বেগুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা পর্যন্ত দামে। এই দাম এখন কমে লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা এবং গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে এখন মোটামুটি দুই রকমের শিম পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে সবুজ শিমের দাম ৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকায় নেমেছে। দাম কমেছে রঙিন শিমেরও। এই শিমের দাম ১০০-১২০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি এখন ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেছে বাঁধাকপির দামও। প্রতিটি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৪০-৫০ টাকা। একইভাবে দাম কমে আসছে টমেটোর। প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১২০-১৪০ টাকা থেকে কমে মান ও বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে।

সবজি বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এই সরবরাহের কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। এতে করে বিক্রিও বেড়েছে।

এদিকে, বাজারে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল ডিম-মুরগির দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একেবারেই কম। গত তিন-চারদিন ধরেই প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা দরে। যদিও বৃহষ্পতিবার ডিমের দাম আবারও খানিকটা বেড়েছে। পাইকারিতে বেড়ে যাওয়ার কারণে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন আবারও ১৩০ টাকায় উঠবে বলে ধারণা করছেন ভোক্তারা।
 
ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকার মধ্যে।

অন্যদিকে, দুদিন ধরেই সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে বাজারে। কারণ ব্যবসায়ীরা সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছেন ৯ টাকা। একইভাবে ৫ লিটারের বোতলের দাম ৪৩ টাকা এবং দুই লিটারের বোতলের দাম বাড়িয়েছেন ১৮ টাকা।

মাছের বাজারে বড় পরিবর্তন নেই। ইলিশ ১,০০০-২,৮০০ টাকা, রুই ৪০০-৬০০, কাতল ৩৫০-৫৫০, চিংড়ি ১,০০০-১,৮০০, কাচকি ৪০০-৫০০ টাকা কেজি। মুদি ও মসলার বাজারেও দাম অপরিবর্তিত।

অন্যদিকে, গরু ও খাসির মাংসের দাম উচ্চই রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০-৮৫০ টাকা, খাসির মাংস ১,১০০-১,৩০০ টাকার মধ্যে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো মাসে একবারও মাংস কিনতে কষ্ট পাচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্য, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ কমায় আগের দামে বিক্রি সম্ভব নয়।

বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন, স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, আমদানির চাপ কমে যাওয়া, জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয়ের অস্থিরতা মাংসের বাজারে স্থিতিশীলতা আনে না। ক্রেতারা মনে করছেন, যদি মাংসের বাজার মনিটরিং আরও কঠোর না হয়, তাহলে এটি ক্রমেই ‘অভিজাত’ পণ্যে পরিণত হবে।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আবার দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের
আবার দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের
পুঁজিবাজারে বড় দরপতন, লেনদেনেও ভাটা
পুঁজিবাজারে বড় দরপতন, লেনদেনেও ভাটা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পুঁজিবাজার প্রশিক্ষণ শুরু
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পুঁজিবাজার প্রশিক্ষণ শুরু