অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর, মামলা থাকলে গ্রেপ্তার


বিনোদন প্রতিবেদক
দুপুরের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গেছে এক বিধ্বস্ত সিদ্দিককে। তার ওপর নির্যাতনের আলাপত স্পষ্ট, ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল তার পোশাক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ওই ভিডিওতে এক যুবককে বলতে শোনা গেছে, থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিদ্দিকুর রহমানকে। তবে কোন থানায় নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি জানতে সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ঘনিষ্টরাও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। তবে সিদ্দিকের ভিডিওটি আজ মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। বর্তমানে তিনি রমনা থানা হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না যাচাই-বাছাই চলছে। মামলা থাকলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে। এছাড়া যারা গণপিটুনি দিয়েছে তাদের পুলিশ কড়া বার্তা দিয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, দুদক কার্যালয়ের সামনে থেকে লোকজন সিদ্দিককে ধরেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সিদ্দিককে যারা মারপিট করেছে তাদের বকাঝকা করা হয়েছে। সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না যাচাই-বাছাই চলছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, অভিনেতা সিদ্দিককে মারপিট করে তার পরনে থাকা গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলা হয়। দুজন ব্যক্তি তাকে ধরে রেখে হাঁটছে এবং পুলিশসহ আরও বেশ কয়েকজনকে ভিডিওটিতে দেখা যায়। সিদ্দিকের বাম হাত ধরে থাকা একজন ব্যক্তি বলছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিরোধিতা করেছিলেন এই সিদ্দিক। ছাত্রদের বুকে সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
সিদ্দিক ১৯৯৯ সাল থেকে আরামবাগ থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী। মঞ্চে ‘রাজারগল্প’, ‘পেজগি’, ‘বলদ’সহ বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন। পরে তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। কিছুদিন সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে দীপংকর দীপনের ‘রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য’ নাটকে ‘কাউয়া সিদ্দিক’ চরিত্র দিয়ে প্রথম নাটকে নাম লেখান তিনি।
‘কবি বলেছেন’ নাটকে অভিনয় করে টিভি দর্শকদের নজর কাড়েন সিদ্দিক। পরে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউসফুল’ নাটকে ‘সিদ্দিক’ নামে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘মাইক’ তাকে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে সিদ্দিককে।
২০২৩ সালের ৫ জুন এ অভিনেতা আওয়ালী লীগ দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। পরদিনই মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-১ ও বরিশাল-৩ আসন থেকেও আওয়ালী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলেন সিদ্দিকুর রহমান।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
দোয়া চাইলেন শাবনূর, জানালেন ঈদের শুভেচ্ছা
বিনোদন ডেস্ক
এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ায় …

ঈদে স্টার সিনেপ্লেক্সে দৈনিক ৬৬টি শো, শীর্ষে ‘তাণ্ডব’
বিনোদন ডেস্ক
বাংলা সিনেমার আধুনিকায়ন ও প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফেরানোর ক্ষেত্রে …
