ব্যাংকে ‘নেই’, ফুটপাতে নতুন টাকার নোট


নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদ সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট ছাপানোর উদ্যোগের পরও রাজধানীর ব্যাংকগুলোতে হাহাকার, অথচ ফুটপাতে চলছে রমরমা বেচাকেনা। গুলিস্তান কমপ্লেক্স, সদরঘাট ও এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিচে গাঁটাগাঁটা নতুন নোট যা ব্যাংকে নেই, তা-ই বিক্রি হচ্ছে খোলামেলা। শতকরা ১০ শতাংশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন ১,০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট।
সরকার ঘোষিত নতুন ডিজাইনের এই নোট বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে। কিন্তু সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীর অন্তত ১৪টি ব্যাংক শাখা ঘুরেও সাধারণ মানুষ নতুন টাকা না পেয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। এর বিপরীতে ফড়িয়ারা দিব্যি সাজিয়ে বসে আছেন চকচকে নতুন নোট নিয়ে যেখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফরিয়াদের কাছে টাকা পৌঁছে দেন খোদ ব্যাংক কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলোতেই সরবরাহ করা হয়েছে নতুন নোট। তবে বিতরণ কোন শাখায় হবে, তা ব্যাংকগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এসব ‘নিজস্ব সিদ্ধান্তে’র আড়ালে তৈরি হয়েছে এক গোপন চক্র, যারা নতুন টাকা পাচার করছে খোলাবাজারে।
এক ফড়িয়া স্বীকার করলেন “আমরা টাকার জন্য যাই না, কর্মকর্তারাই দিয়ে যান। এক বান্ডিল ১,০০০ টাকার নোটের জন্য ১০ হাজার বাড়তি দিচ্ছি। তাই কিছু বেশি রেটে বিক্রি করি।”
কালাম হোসেন নামে এক নতুন টাকার ক্রেতা বলেন, “ব্যাংকে পাইনি, গুলিস্তানে পেয়েছি। বিশ্বাস ছিল, এখানেই পাবো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিচেও একই চিত্র।”
বেশিরভাগ মানুষের চাহিদা ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোটে। সেগুলোও মিলছে সীমিত হারে, কিন্তু দামে বাড়তি। অনেকেই অগ্রিম দিয়ে নিচ্ছেন ঈদ সালামির জন্য। প্রশ্নবিদ্ধ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন দাবি করেন, “আমরা ১০টি ব্যাংকে টাকা দিয়েছি। ব্যাংক থেকে কেউ বাইরে বিক্রি করলে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে কঠিন।”
তবে ব্যাংকেরই এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, “আগে সিবিএ নেতারা করতেন, এখন কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা এসব নোট বাইরে পাচার করছেন। শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছায়া ছাড়া এটা সম্ভব নয়।”
একাধিক ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন তারা এখনো নতুন নোট হাতে পাননি। গ্রাহককে বোঝাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবে একাধিক বেসরকারি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিণিময়ে ফড়িয়াদের কাছে এসব টাকা পৌঁছে দিয়ে থাকেন।
জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ভিওডি বাংলাকে বলেন, এবার নতুন টাকার চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু কর্মকর্তা সুযোগের আশ্রয় নিয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
নির্ধারিত দামে চামড়া কিনতে চাইছেন না আড়তদাররা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহার পর রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে কোরবানির …

ঈদের আগে বাড়লো শসা-কাঁচা মরিচের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন রাজধানীর বাজারগুলোতে শসা …

সব রেকর্ড ভেঙে পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা সেতুতে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রেকর্ড ৫ কোটি …
