• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জমে উঠেছে আবাসিক এলাকার গোখাদ্যের বাজার

   ৫ জুন ২০২৫, ০৮:২৫ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আজহার আর মাত্র বাকি একদিন। কোরবানির জন্য কেনা পশু নগরবাসীরা রাখছেন বাড়ির ছাদ অথবা গ্যারেজে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় জমে উঠেছে গোখাদ্যের অস্থায়ী বাজার।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা, ধানমন্ডিসহ রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকার গলির মোড়ে, খালি প্লট কিংবা পাকা ফুটপাত ঘেঁষে বিক্রি হচ্ছে খড়, ভুসি, খৈল, ছোলা, বিচালি ও অন্যান্য পশু খাদ্য। দামও বেড়েছে চাহিদা অনুযায়ী।

মৌসুমী গোখাদ্যের ব্যবসায়ী রিপন মিয়া। তিনি দোকান বসিয়েছেন মোহাম্মদপুরে আদাবর আবাসিক এলাকায়। তিনি ঢাকা বলেন, গত এক সপ্তাহ হলো দোকান লাগিয়েছি। এর মধ্যে প্রথম তিন দিন তেমন বিক্রি হয়নি। এখন ঈদ ঘনিয়ে আসায় বিক্রি বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি এক আটি ঘাস বিক্রি করছি ২০ টাকায়, আর খড় বিক্রি করছি ১৫ টাকায়। ভূসি প্যাকেট আকারে বিক্রি করছি যার দাম প্রতি প্যাকেটে ৬০ টাকা। আগামীকাল রাত পর্যন্ত বিক্রি করব। আশা করছি ভালো লাভ হবে।

ছবি: সংগৃহীত

ঝিগাতলার আরেক বিক্রেতা রহমান বলেন, ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আছে আর মাত্র একদিন। বৃষ্টির কারণে বিক্রি একটু কম। তবে আজ এবং আগামীকাল এই দুই দিন গোখাদ্যের চাহিদা বেশ বাড়ে।

আবাসিক এলাকায় গোখাদ্যের দোকান বসানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকার মানুষেরা এক থেকে দুই দিন আগে কোরবানির পশু কেনে। কারণ পশু রাখার জায়গার স্বল্পতা। এজন্য এসময় আবাসিক এলাকায় ঈদের আগের দুই দিন গো-খাদ্যর চাহিদা থাকায় আমরা প্রতি বছর এ ব্যবসা করি।

তিনি আরও বলেন, কাঁঠাল পাতা এক আটি ৫০ টাকা, ভুসির একটি প্যাকেট ৬০ থেকে ৭০ টাকা আর কোরবানির পশুর জন্য বাঁশের চাটাই যা বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়।

জিগাতলার বাসিন্দা নিলয়। যিনি নিজ বাসায় দুইটি গরু পালন করছেন; তিনি বলেন, গরু কিনে আনার পর প্রতিদিনই খড়, ভুসি কিনতে হচ্ছে। আগে এগুলো সহজে পাওয়া যেত না, এখন হাতের কাছেই মিলছে। তবে দাম কিছুটা বেশি।

অন্যদিকে অস্থায়ী এই গোখাদ্যের বাজার নিয়ে কয়েকজন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এলাকার পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন খোলা জায়গায় গোখাদ্য মজুদের কারণে এলাকায় দুর্গন্ধ, মশা-মাছি এবং পরিচ্ছন্নতা সমস্যা তৈরি হতে পারে। কর্তৃপক্ষের কাছে তারা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অনুরোধ করেছিলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ইতোপূর্বে কেরবানির বর্জ্য সরানোর জন্য পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। নতুন করে কোনো পরিকল্পনা নেই। বর্জ্য সরানোর জন্য কিন্তু আমাদের লোকবলের স্বল্পতা নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি বর্তমানে রাস্তার ওপর ময়লা কম থাকে। কোনো কোনো জায়গা থেকে আমাদের নিতে দেরি হলে সেখানে কিছুক্ষণ থাকে। এরপরও আমাদের কোনো ঘাটতি থাকলে তা আমরা আগে পূরণ করতে চাই। 

কোরবানির বর্জ্যের কারণে নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সব রকম ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। তাই হাটের আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি হওয়ার কথা না।

কোরবানির ঈদকে ঘিরে শুধু পশুর বাজারই নয়, আবাসিক এলাকাগুলোর এই অপ্রচলিত গোখাদ্যের বাজারও হয়ে উঠেছে ঈদ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আজ ব্যাংক খোলা থাকছে যেসব এলাকায়
আজ ব্যাংক খোলা থাকছে যেসব এলাকায়
ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি
ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি
বাজেট বাস্তবায়নে জরুরি দক্ষতা-স্বচ্ছতা: এফবিসিসিআই
বাজেট বাস্তবায়নে জরুরি দক্ষতা-স্বচ্ছতা: এফবিসিসিআই