• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

নতুন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ

   ২২ জুন ২০২৫, ০১:৫০ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা কয়েকদিন ধরে সচিবালয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ভবনের নিচ থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল শুরু করেন এবং সচিবালয়ের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করেন।

প্রতিদিনের মতো আজও তারা ‘লড়াই ছাড়া মুক্তি নেই’, ‘বাতিল করতেই হবে কালো আইন’—এমন বিভিন্ন স্লোগানে সচিবালয়জুড়ে কর্মসূচি চালান। অংশগ্রহণকারীদের দাবি, ২৫ মে ঘোষিত এই অধ্যাদেশ সরকারি কর্মচারীদের জন্য নিপীড়নমূলক এবং এতে চাকরির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চারটি নির্ধারিত শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের ঘটনায় কোনো ধরনের বিভাগীয় তদন্ত ছাড়াই, কেবল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে—যা সরকারি চাকরি বিধির বিরুদ্ধে বলে অভিযোগ কর্মীদের। আন্দোলনকারীদের মতে, এটি শুধুমাত্র একটি অধ্যাদেশ নয়, এটি চাকরিজীবীদের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের ওপর সরাসরি আঘাত।

সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, এই অধ্যাদেশের কোনো অংশ আমরা মানি না। এটি পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। সংশোধন বা পরিমার্জনের প্রশ্নই আসে না। আমরা এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আলোচনার ডাক পাইনি, যদিও প্রজ্ঞাপনে আলোচনা করার কথাই বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কর্মীদের দাবির বিষয়ে সচিবালয়ে বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগানো হলেও তা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তার আহ্বান, প্রত্যেকে নিজ উদ্যোগে সচিবালয়ে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট লাগিয়ে কর্মসূচিকে বেগবান করতে হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবারও (২০ জুন) বিক্ষোভকারীরা সচিবালয়ের বিভিন্ন অংশে মিছিল করেন এবং সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। দাবি আদায়ে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দেন তারা।

উল্লেখ্য, ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদিত হয় এবং পরবর্তীতে ২৫ মে তা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়। এরপর থেকেই সচিবালয়ের কর্মচারী সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে এ অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে।

ঈদের ছুটির পর গত ১৬ জুন থেকে আন্দোলনের নতুন ধাপ শুরু হয়েছে। কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে ‘কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করে বলছেন—এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে আন্দোলনের মাত্রা আরও বাড়বে।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আজ পাস হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেট
আজ পাস হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেট
তিন ‘বিতর্কিত’ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা-অভিযোগ
তিন ‘বিতর্কিত’ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা-অভিযোগ
আসনভিত্তিক ও সংখ্যানুপাতিক দুটি পদ্ধতিই ত্রুটিপূর্ণ- বদিউল আলম
আসনভিত্তিক ও সংখ্যানুপাতিক দুটি পদ্ধতিই ত্রুটিপূর্ণ- বদিউল আলম