• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
প্রগতি লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী গুনাগরী সার্ভিসিং সেল কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক উন্নয়ন সভা শেরপুরে বিজিবির ভারতে পাচারকালে ৬৩ কেজি শিং মাছ জব্দ বাকৃবিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার জুলাই ৩৬ হলের ১৫ ছাত্রী ফুলবাড়ীতে  চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে  কিশোরী ও অভিভাবক সমাবেশ গোয়ালন্দে জুয়ার আসর থেকে ৮ জন গ্রেপ্তার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের দায় সরকার এড়াতে পারে না শিবির জাতীয় সংগীত মানে না, তাই ঐক্য অসম্ভব : নাছির দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থানে আনতে একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা রাজবাড়ীতে ওয়ারেন্টভুক্ত ছয় আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতায় হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

   ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৩ পি.এম.
নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে টানা কয়েক দিনের অতিভারী বৃষ্টি বুধবার রাত থেকে কিছুটা কমলেও জলাবদ্ধতা কমেনি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ। খাল, নালা ও ড্রেন দিয়ে পানি দ্রুত না নামায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর থেকে জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। মাইজদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, খুলেছে আশ্রয়কেন্দ্র। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জলাবদ্ধতার কারণে শনিবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জের ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
জরুরি সহায়তার জন্য ১০১টি মেডিকেল টিম এবং ৮৭১১ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

 নামছে না পানি,ঘরবন্দি মানুষ। জেলার হাজারো মানুষ এখনো ঘরবন্দি অবস্থায় আছেন। বিশেষ করে জেলা শহর মাইজদীর হাউসিং বালুর মাঠ, সেন্ট্রাল রোড, হসপিটাল সড়ক, আল-ফারুক একাডেমি, মসজিদ মার্কেট সড়ক, কলেজ সড়ক, এম এ রশিদ কলোনি, মাস্টারপাড়া এবং আশপাশের এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।

পুকুর-ঘের ভেসে গেছে মাছ  ও   মরছে মুরগি। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক খামারে মারা গেছে মুরগি। তবে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। এদিকে আমনের বীজতলা ও সবজিচাষিরাও বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, দায় করছে প্রশাসনের অবহেলায় স্থানীয়রা বলছেন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা এবং খাল, নালা ও জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নামতে দেরি হচ্ছে। ২০২৪ সালের আগস্টের বন্যার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও খালগুলো দখলমুক্ত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল হয়নি। এ নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন জেলাবাসী।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়