• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

৭০ লাখের বাজেটে ৭৫ কোটির আয়

বিনোদন ডেস্ক    ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০১:৪৫ পি.এম.
গণেশ ও পূজা গান্ধী-ছবি সংগৃহীত

সিনেমা সাফল্যের মাপকাঠি সাধারণ দর্শকের কাছে ‘হিট’ হলেও বিনোদন জগতে এর নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে। ছবিটি যদি বাজেটের দ্বিগুণ আয় করে, তা ‘সুপারহিট’; তার চেয়ে বেশি হলে ‘ব্লকবাস্টার’। বাজেটের পাঁচ গুণ আয় হলে, সেটা বিরল। কিন্তু বাজেটের একশো গুণ আয় করা সিনেমা? এ রকম ঘটনা বিরলই নয়, অবিশ্বাস্যও।

২০০৬ সালে লেখক-পরিচালক যোগরাজ ভাট নির্মাণ করেন কন্নড় রোম্যান্টিক ড্রামা ‘মুংগারু মালে’। স্বল্প বাজেটের (৭০ লাখ টাকা) এই ছবিতে অভিনয় করেন নবাগত গণেশ ও পূজা গান্ধী, সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ অনন্ত নাগ।

ডিসেম্বরে মুক্তির পর ধীরে ধীরে ছবিটি জনপ্রিয়তা পায়। বেঙ্গালুরুর পিভিআর মাল্টিপ্লেক্সে এটি টানা ৪৬০ দিন চলেছিল, যা এক অভূতপূর্ব রেকর্ড। বিশ্বব্যাপী আয় ৭৫ কোটি, যার মধ্যে ৫৭ কোটি কেবল কর্ণাটক থেকে। রাজ্যে ছবিটি ‘ইন্ডাস্ট্রি হিট’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

গনেশ ও পূজা গান্ধী মুক্তির সময় তুলনামূলক অপরিচিত ছিলেন। কিন্তু ছবির সাফল্য তাঁদের রাতারাতি তারকা বানায়। পরবর্তী কয়েক বছরে তারা একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করে কন্নড় সিনেমার জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন।

তবে প্রযোজক ই. কৃষ্ণর জন্য সাফল্য কিছুটা তিক্তও ছিল। আয়কর বিভাগ দাবি করে, ছবিটি ৬৭.৫০ কোটি নিট আয় করেছে, এবং সেই অনুযায়ী কর দিতে হয়। এমনকি প্রযোজকের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়।

‘মুংগারু মালে’র বক্স অফিস রেকর্ড এক দশকেরও বেশি সময় অটুট ছিল, যতক্ষণ না ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ১’ সেই রেকর্ড ভেঙে দেয়। ছবিটি পরে তেলেগু, বাংলা, ওড়িয়া ও মারাঠি ভাষায় পুনর্নির্মাণ হয়। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় এর আত্মিক সিক্যুয়েল ‘মুংগারু মালে ২’। সম্প্রতি এটি ওটিটি-তেও রিলিজ হয়েছে, যা জনপ্রিয়তা আরও বিস্তৃত করেছে।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গ্রামীণ গল্পে ‘ফুলগাঁও’ নিয়ে আসছেন সালাহউদ্দিন লাভলু
গ্রামীণ গল্পে ‘ফুলগাঁও’ নিয়ে আসছেন সালাহউদ্দিন লাভলু
বুকের ট্যাটুতে প্রয়াত স্ত্রীর মুখাবয়ব আঁকলেন পরাগ
বুকের ট্যাটুতে প্রয়াত স্ত্রীর মুখাবয়ব আঁকলেন পরাগ
হাসপাতালে ভর্তি পরীমণি
হাসপাতালে ভর্তি পরীমণি