• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

উল্লাপাড়ায় পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত কৃষকরা

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি    ২১ আগস্ট ২০২৫, ১১:২২ এ.এম.
ছবি-ভিওডি বাংলা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গ্রামীণ জনপদে এখন চলছে পাট আঁশ ছাড়ানোর ব্যস্ত মৌসুম। বর্ষার পানিতে নেমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কষ্টসাধ্য এ কাজ করছেন কৃষকরা। ছবিতে দেখা যায় দু’জন কৃষক কোমর পর্যন্ত পানিতে দাঁড়িয়ে হাতে আঁকড়ে ধরে রাখা পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। পাশে সারি সারি করে পানিতে ডোবানো পাট ভাসছে। এভাবেই আঁশ ছাড়িয়ে বাজারে বিক্রির উপযোগী করছেন তারা। গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে মিশে আছে এ কষ্ট, আবার রয়েছে ফসল ঘরে তোলার আনন্দও। 

‎উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, এ বছর উল্লাপাড়ায় ১ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির পাট কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা মূলত দেশী, তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতের পাট চাষ করে থাকেন। 

‎বর্তমানে বাজারে সাধারণ মানের পাট মণপ্রতি ৩২০০ থেকে ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বিশেষভাবে ভালো আঁশ হলে দাম ৪০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তার মতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে কৃষকরা দাম পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন।

‎স্থানীয় কৃষকরা জানান, পাট চাষের সবচেয়ে কষ্টকর ধাপ হলো আঁশ ছাড়ানো। জমি থেকে পাট কেটে এনে পানিতে ১৫ থেকে ২০ দিন ডুবিয়ে রাখতে হয়। এরপর পচন ধরলে পানিতে নেমে আঁশ ছাড়াতে হয়। এই কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় কৃষকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোমরপানি বা বুকপানিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে শরীর ভিজে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। 

‎আরেকজন কৃষক বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে পানিতে দাঁড়িয়ে আঁশ ছাড়াই। শরীর ভিজে থাকে ঘন্টার পর ঘণ্টা। তবুও আঁশ ছাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। যদি কোনো যন্ত্র দিয়ে সহজে আঁশ ছাড়ানো যেত, তবে কৃষকের কষ্ট অনেকটা কমতো।’

‎পাট উল্লাপাড়ার গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম ভরসা। পাট আঁশ বিক্রি করে কৃষকেরা নগদ অর্থ পান। আবার পাটখড়ি দিয়ে তৈরি হয় ঘরের বেড়া, জ্বালানি কিংবা গরু ছাগলের খাবার। এ কারণে পাটকে এখনও সোনালী আঁশ বলা হয়।

‎স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় ও রপ্তানি বাজারেও উল্লাপাড়ার পাটের ভালো চাহিদা রয়েছে।

‎বর্ষাকালে উল্লাপাড়ার খাল-বিল, জলাশয়ে একসাথে হাজার হাজার আঁটি পাট ডোবানো থাকে। কয়েকজন কৃষক মিলে একসাথে নামেন পানিতে। হাতে আঁশ টেনে আলাদা করেন। এসময় পাশে ছোট ছেলেরা ও সাহায্য করে।

ভিওডি বাংলা-রাকিবুল ইসলাম রাকিব/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শালীহর গণহত্যা দিবসে স্বেচ্ছাশ্রমে বধ্যভূমি পরিষ্কার
শালীহর গণহত্যা দিবসে স্বেচ্ছাশ্রমে বধ্যভূমি পরিষ্কার
তাড়াশে দেড় বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজ নির্মাণের কাজ
তাড়াশে দেড় বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজ নির্মাণের কাজ
বিএনপির হট্টগোলে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ স্থগিত
বিএনপির হট্টগোলে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ স্থগিত