‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে গানের মানুষ কীভাবে বাঁচবে’ : রাজীব


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের আলাদা শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক চলছে। এ বিষয়ে মতামত দিচ্ছেন বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ।
সম্প্রতি ক্লোজআপ তারকা মিজান মাহমুদ রাজীব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “আগামী নির্বাচনে যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসে, তবে আমরা যারা গানের মানুষ তারা কী করে খাব?”
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর তিনি লিখেছিলেন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই ও কাতারের মতো মুসলিম দেশগুলোতে শিশুদের ধর্মের পাশাপাশি সংগীত শিক্ষা বাধ্যতামূলক বা বিকল্পভাবে দেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও সংগীতকে ধর্মের শত্রু বানানো হয়নি। তার মতে, শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য ধর্মের পাশাপাশি সংগীত ও কলা শিক্ষা অপরিহার্য।
অন্যদিকে ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি ফেসবুকে লিখেছেন, প্রাথমিক স্তরে দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ উপেক্ষিত হয়েছে, অথচ সংগীতের মতো বিষয়ের জন্য আলাদা পদ সৃষ্টি করা হয়েছে—যা অযৌক্তিক ও জনমতবিরোধী। তিনি বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ধর্মীয় শিক্ষা উপেক্ষা করে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ করা দুঃখজনক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় পরিবর্তন এনে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার জন্য দুটি আলাদা পদ সৃষ্টি করেছে সরকার। আগে এসব দায়িত্ব অন্যান্য শিক্ষকরা পালন করতেন।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ