ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এখন মরণ ফাঁদ


পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে কয়েকগুণ গাড়ি চলাচল বৃদ্ধি পেলেও ভাঙ্গা থেকে সরু সড়কটির প্রশস্ততা বাড়েনি। অপ্রশস্তত সড়কটি বর্ষায় খানাখন্দযুক্ত হয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় যাত্রী, চালকরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। বাড়ছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
বাস চালক ইউসুফ মিয়া বলেন, আমরা মৃত্যুর ঝুঁকি নি্য়ে এই রাস্তায় গাড়ি চালাই।প্রতিদিনই ২-৩ টা দুর্ঘটনা ঘটছে। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত ছয় লেনে উন্নীত করা দরকার।
ঢাকা থেকে বরিশালগামী বাসের যাত্রী সাদিয়া আক্তার বলেন, মাথা ব্যথা হয়ে যায় এই সড়কে বাসে উঠলে। একটু পর পর বড় বড় গর্ত, ডানে গেল বামে সমস্যা। কবে এর থেকে আমরা মুক্তি পাবো, তা জানি না।
বরিশাল-ফরিদপুর ও বরিশাল-পায়রাবন্দর-কুয়াকাটা মহাসড়কটির ওপরই সারা দেশের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলার সড়ক পরিবহন নির্ভরশীল।
দক্ষিনাঞ্চলবাসী দীর্ঘ দিন ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবী জানিয়ে আসছে। বরিশাল নগরীতে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে।
বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজন বলেন, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত সড়কটি এখন পর্যন্ত সরু সড়ক রয়ে যাওয়ায় একের পর এক বাড়ছে দুর্ঘটনা। আমরা অবিলম্বে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়কটি ছয় লেনের নির্মাণ করে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে।
জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য সম্ভাবত্য সমীক্ষা করা হয়। ২০১৮ সালে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ভূমি অধিগ্রহনের জন্য ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। ২০২১ সালে জুনের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি।
বরিশাল সড়ক ও জনপদ বভিাগের তত্ত্বাবধাক প্রকৌশলী মাসুদ খান বলেন, বরিশালের উজিরপুর পর্যন্ত ছয়লেনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পটুয়াখালীর লেবুখালী পর্যন্ত শেষ হবে জমি অধিগ্রহণের কাজ। এছাড়া বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক জরুরিভিত্তিতে মেরামত করা হচ্ছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ