শ্রমিক নেতা সাইদুল
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষের ষড়যন্ত্র


নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ উসকে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ভাবে আত্মগোপনে যাওয়া এভারগ্রীন কোম্পানির শ্রমিক মো. ছাইদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল (২৫) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
তাকে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুত্র জানায়, গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ছাইদুল। এ ঘটনায় তার পিতা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন রাতে পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তদন্তে জানা যায়, শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মগোপনে যান। এসময় তিনি এভারগ্রীন কোম্পানির কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার মুক্তিপণ দাবি করেন এবং ইতোমধ্যে ৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ছাইদুল আত্মগোপনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ষড়যন্ত্রে জড়িত অন্যদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এ.এফ.এম তারিক হোসেন খান
সাংবাদিকদের জানান, “এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল। ইপিজেড এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছিল। তবে পুলিশের সঠিক তদন্ত ও গোয়েন্দা তৎপরতায় আমরা দ্রুত ছাইদুলকে উদ্ধার ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। শ্রমিক অসন্তোষকে পুঁজি করে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ইপিজেড ও আশপাশ এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি দমনে নয়, বরং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় প্রস্তুত।”
উল্লেখ্য, গত বছর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষের সময় ছাইদুল শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং মালিকপক্ষের সাথে দর-কষাকষি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই তিনি কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ