• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের বর্তমান অবস্থান অনিশ্চিত

বিনোদন ডেস্ক    ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৮ পি.এম.
সিনেমা নায়ক সালমান শাহ-ছবি সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ২৯ বছর পর নতুন করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২১ অক্টোবর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের হয়, যেখানে ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্টভাবে আসামিদের অবস্থান জানাতে পারেনি।

এ হত্যা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক, শাশুড়ি লতিফা হক লুছি, বিতর্কিত ব্যবসায়ী অলিম্পিক ইন্ড্রাস্ট্রিজের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল হক ওরফে ডন। ডেভিড, জাভেদ ও ফারুক নামের তিন জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রাজধানীর বিএফডিসি। এছাড়া আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- ফরিদপুরের রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, রুবী, আ. ছাত্তার ও সাজু।

মামলা পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৩ অক্টোবর আদালতে শুনানির সময় এ প্রথম উপস্থিত ছিলেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক। এর এক সপ্তাহ পরই আদালতের নির্দেশে রাজধানীর রমনা থানায় হত্যা মামলাটি করা হয়।
 
প্রশ্ন উঠেছে- আসামিরা এখন কে কোথায় আছেন? অনেক আগে থেকেই ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। আসামি রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ অবস্থান করছেন লন্ডনে। সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, তার মা লতিফা হক লুছি ও অপর খলনায়ক ডন দেশেই অবস্থান করছিলেন।

১৩ অক্টোবর আদালতেও উপস্থিত ছিলেন সামিরা। তবে ২০ অক্টোবর আদালত থেকে হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ দিলে তারা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইবেন নায়ক সালমান শাহকে হত্যা মামলার আসামি সামিরা হক। এদিন তার বর্তমান স্বামী হাইকোর্টে আসেন জামিন শুনানির জন্য আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে। অন্য আসামিদের অবস্থান এখনও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পুলিশ।
 
মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের চারটি সংস্থা। প্রথমে রমনা থানার এসআই মাহবুবুর রহমান এ মামলার তদন্ত করেন। পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন মামলাটি পর্যায়ক্রমে ডিবির দুই কর্মকর্তা তদন্ত করেন।

তারা হচ্ছেন- সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ুন কবীর ও এএসপি মো. মজিবুর রহমান। এরপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এএসপি খালেক-উজ-জামান। এরপর আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করে। 
 
এ সংস্থায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ইন্সপেক্টর মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুল। এ তদন্তে তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন পিবিআইর পুলিশ সুপার শফিউল আজম ও বশির আহমেদ। প্রত্যেকটি সংস্থার প্রতিবেদনেই চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ওরফে ইমন ওরফে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়।

সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাটির জুডিসিয়াল (বিচারিক) তদন্তও করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টের বিচারক ইমদাদুল হক মামলাটির জুডিসিয়াল তদন্ত করেন। তার তদন্তেও তখন একই চিত্র উঠে আসে।

গত ২১ অক্টোবর হত্যা মামলার পর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে রমনা থানার ইন্সপেক্টর আতিকুল আলম খান্দকারকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন করে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। পাশাপাশি আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

জুডিশিয়াল তদন্তেও একই চিত্র দেখা যায়। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর আতিকুল আলম খান্দকার বলেন, “নতুন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আসামিদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ইমিগ্রেশনে মামলার তথ্য পাঠানো হয়েছে যাতে তারা দেশত্যাগ করতে না পারে।”

ভিওডি বাংলা/জা
 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সম্মানবোধের কারণে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত
সম্মানবোধের কারণে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত
ভেলপুরি ৩৯৫, রুটি ১০৫ টাকা!
ভেলপুরি ৩৯৫, রুটি ১০৫ টাকা!
রোজার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে পরীমণির ‘ডোডোর গল্প’
রোজার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে পরীমণির ‘ডোডোর গল্প’