সালমান শাহ হত্যা মামলা
আড়ালে থাকা ডন ফের প্রকাশ্যে

বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। তবে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার আকস্মিক মৃত্যু এখনো রহস্যের আড়ালে। ভক্তদের দাবি, এটি হত্যা, যদিও একাধিক তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক রূপ ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
মৃত্যুর পর রমনা থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ২০২৫ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর ২১ অক্টোবর সালমান শাহর মামা মোহাম্মদ আলমগীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সালমানের স্ত্রী সামীরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অন্যতম আসামি দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক মাধ্যমে ফের সক্রিয় হয়ে একটি গান পোস্ট করেছেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি উল্লেখ করেছেন, এটি “৫০ জন বন্ধু-বান্ধবীর জন্য উৎসর্গ।” পোস্টের পর নেটিজেনদের পক্ষ থেকে প্রশংসা বন্যা নামে।
পরিবারের অভিযোগ ছিল, সালমানের মৃত্যুর পর এটি ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। পুলিশের বরাতে বলা হয়েছিল, তদন্তে হত্যার প্রমাণ মিললে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে, পরিবারের অভিযোগের তির সবসময় তার স্ত্রী সামিরার দিকে ছিল, যদিও সামীরা সবসময় হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত বছর এক সাক্ষাৎকারে সামীরা দাবি করেন, সালমান মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন এবং বিয়ের আগেও তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, এটি আত্মহত্যা ছিল।
ভিওডি বাংলা/জা







