• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ঐকমত্যে পৌঁছাতে ছাড় দেবে নাগরিক ঐক্য

   ৭ মে ২০২৫, ০৭:৩০ পি.এম.

নিজস্ব প্রতিবেদক
সংস্কার কমিশনগুলোর ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১৮টির বিষয়ে একমত হয়েছে নাগরিক ঐক্য। ঐকমত্যে পৌঁছাতে ছাড় দেবে নাগরিক ঐক্য।

বুধবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে করা ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। সংস্কার প্রশ্নের ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা করছে কমিশন। এর অংশ হিসেবে আজ নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, তাঁরা আগে ১১৪টি বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। আজ তাঁরা ১১৮টি বিষয়ে একমত হয়েছেন। ৩৮টি বিষয়ে তাঁদের দ্বিমত থাকলেও মতপার্থক্য অনেকখানি নিরসন হয়েছে। আর বাকি ১০টির বিষয়ে তাঁরা আংশিক একমত।

নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষের ১০০ প্রতিনিধির মধ্যে ৫০ শতাংশ নাগরিক সমাজ ও বাকিটা রাজনৈতিক দল থেকে নির্ধারণের বিষয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে তারা দ্বিমত পোষণ করেছে।

নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার বলেন, যেহেতু এটা (উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্ব) রাজনৈতিক মনোনয়ন থেকেই আসবে, ফলে আলাদা করে ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটির জন্য বরাদ্দ করলে বাংলাদেশ একটা শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি হারাবে। তখন সিভিল সোসাইটির সদস্যরাও চিন্তা করবেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের পর উচ্চকক্ষে যাওয়া যাবে। কারণ, মনোনয়ন রাজনৈতিক দল থেকেই আসবে। এ কারণে তাঁরা বাংলাদেশের একটি স্ট্রং সিভিল সোসাইটি, যারা নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবে, সেটা চান।

নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব মোতাবেক কোনো দল এক শতাংশ ভোট পেলে তারা উচ্চকক্ষে আসন পাবে—এটির সঙ্গে তারা একমত।

সাকিব আনোয়ার বলেন, উচ্চকক্ষে প্রতিনিধি নির্বাচনে একটি দলের ন্যূনতম ৩ শতাংশ ভোট পেতে হবে—তাঁরা এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। সংবিধান সংস্কার কমিশন এ ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটের কথা বলেছে। তাঁরা এটা সমর্থন করেন। তাঁরা বলেছেন, কোনো একটা দল যদি ১ শতাংশ ভোটও পায়, তাদের একজন প্রতিনিধি উচ্চকক্ষে থাকবেন।

ঐকমত্যে পৌঁছাতে নাগরিক ঐক্য ছাড় দেবে বলে জানান সাকিব আনোয়ার। তিনি বলেন, তাঁদের অবস্থান হলো, ছাড় দিয়ে হলেও যত বেশি বিষয়ে ঐকমত্যে আসা যায়। তাঁরা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের বিপক্ষে নন। আস্থা ভোট ও অর্থবিল—এ দুটো ছাড়া সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন—এভাবে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের কথা বলেছেন তাঁরা।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মুজিববাদী সংবিধানের বিরোধী ছিলেন বদরুদ্দীন উমর : নাহিদ ইসলাম
মুজিববাদী সংবিধানের বিরোধী ছিলেন বদরুদ্দীন উমর : নাহিদ ইসলাম
তারেক রহমানের প্রিয় বিড়ালের সঙ্গে ছবি ভাইরাল
তারেক রহমানের প্রিয় বিড়ালের সঙ্গে ছবি ভাইরাল
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অযথা শঙ্কা তৈরি করা হচ্ছে : মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অযথা শঙ্কা তৈরি করা হচ্ছে : মির্জা ফখরুল