‘টগর’-এর ভরাডুবি, যা বললেন নায়ক আদর আজাদ


বিনোদন প্রতিবেদক
এবারের ঈদে দেশের প্রায় ১৭০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছয়টি সিনেমা। এগুলো ‘তাণ্ডব’, ‘ইনসাফ’, ‘নীলচক্র’, ‘টগর’, ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’, ও ‘উৎসব’।
এর মধ্যে শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটি রেকর্ড ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। তবে ব্যাপকভাবে ভরাডুবি হয়েছে আদর আজাদ ও পূজা চেরির অভিনীত ‘টগর’ সিনেমাটি। সিনেপ্লেক্সে একেবারেই দর্শক টানতে পারেনি সিনেমাটি। যে কারণে দ্বিতীয় সপ্তাহের সিডিউলে সিনেপ্লেক্স এ জায়গা পায়নি ‘টগর’। কিন্তু সিনেমার নায়ক আদর আজাদের দাবি, নিজেদের সিদ্ধান্তেই প্রদর্শনী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমা থেকে নেমে গেছে সিনেমাটি। সঙ্গে নতুন সপ্তাহের হল লিস্ট সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন আদর আজাদ। ঢাকার আজাদ সিনেমা হল, নীলফামারীর বাবু টকিজ এবং নওগাঁর ফাইভ স্টার সিনেমা হলে দ্বিতীয় সপ্তাহে চলবে সিনেমাটি।
হল লিস্ট শেয়ার করে আদর আজাদ উল্লেখ করেন, ‘এআর মুভি নেটওয়ার্ক প্রযোজিত চলচ্চিত্র টগর এই সপ্তাহে মাল্টিপ্লেক্সে প্রদর্শনের জন্য শিডিউল না রাখার সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নিয়েছি। ঈদ উপলক্ষে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যান্য পাঁচটি চলচ্চিত্রের কারণে টগর-এর শো টাইম দর্শকদের উপযোগীভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।’
আদর আজাদ আরও বলেন, ‘দর্শকদের স্বার্থ বিবেচনায় আমরা এক সপ্তাহের জন্য মাল্টিপ্লেক্স থেকে ছবি তুলে নিয়েছি। তবে আগামী সপ্তাহে টগর আবারও মাল্টিপ্লেক্সে ফিরবে—নতুন সময়সূচি, সঠিক পরিকল্পনা ও পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে।’
আলোক হাসানের পরিচালনায় আদর ও পূজা চেরির এই সিনেমাটি নিয়ে হতাশাজনক প্রতিক্রিয়া দেন দর্শকেরা। সামাজিক মাধ্যমে সিনেমাটি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন দর্শক। এছাড়াও প্রদর্শনীর পর হল থেকে বেরিয়ে সিনেমাটি নিয়ে দর্শকেরা তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। যাদের অধিকাংশেরই মন্তব্য ছিল- ‘টগর সিনেমা দেখে টাকা ও সময় দুইটাই নষ্ট হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আদর ও পূজা চেরি ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/ডিআর