• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

সোহাগের বোনই পাঁচ আসামির নাম বাদ দেন : ডিএমপি কমিশনার

   ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:০৩ পি.এম.
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে দায়েরকৃত মামলায় প্রাথমিক খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন একজনের নাম যুক্ত করে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি’ বিষয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, –এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকি আক্তার এবং সৎ ভাই রনি প্রথমে থানায় এসে ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার তৈরি করেন। পরে নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে এজাহার দায়ের করেন। তিনি পূর্বের খসড়া থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন একজনের নাম যুক্ত করেন এবং মোট ১৯ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করেন।

তিনি আরও বলেন, –মঞ্জুয়ারা বেগমের এজাহারের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু হয় (মামলা নম্বর-৭)। কোনো ঘটনার এজাহার মূলত একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী। তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ সাক্ষ্য-প্রমাণ যাচাই করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, ঘটনার সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে চকবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তখন দেখা যায়, অভিযুক্তরা সেখানে ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ স্লোগান দিয়ে মব তৈরি করার চেষ্টা করছে। ওই সময় এসআই সরোয়ার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করেন।

পরবর্তীতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলায় মোট গ্রেপ্তারকৃত আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জন।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফ্যাসিবাদী শক্তির অবশিষ্টাংশ প্রতিহত করব
ফ্যাসিবাদী শক্তির অবশিষ্টাংশ প্রতিহত করব
নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ
নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের একটি সুপারিশও বাস্তবায়ন করেনি সরকার
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের একটি সুপারিশও বাস্তবায়ন করেনি সরকার