রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ওবামাকে গ্রেপ্তারের দাবি ট্রাম্পের


নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছেন। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে ওবামা প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। তার দাবি, ওবামাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে ট্রাম্প বলেন, “এই ষড়যন্ত্রের হোতা ছিলেন বারাক হুসেইন ওবামা। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী। তারা নির্বাচন চুরি করতে চেয়েছিল এবং তা আড়াল করার চেষ্টা করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক গভীর অপরাধ।”
ট্রাম্প দাবি করেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ তদন্তকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ওবামা প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য বিকৃত করেছিল। তার মতে, “তারা এমন কাজ করেছে যা অন্য কোনো দেশে চিন্তাও করা যায় না। এর জন্য তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”
এই দাবির পেছনে ট্রাম্প ভিত্তি হিসেবে দেখিয়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন। গত ১৮ জুলাই গ্যাবার্ডের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, “ওবামা এবং তার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।”
গ্যাবার্ডের প্রকাশিত ১১ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ওবামা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ২০১৬ সালের নির্বাচনের রাশিয়া-সম্পর্কিত তদন্তে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি এই কাজকে “রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক ষড়যন্ত্র” বলে অভিহিত করে বিচার বিভাগের কাছে ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করেন।
এই ইস্যুতে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা বলছেন, “এটি ন্যায়বিচারের লড়াই—কোনো অপরাধীই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
ওবামার দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের দাবিকে “অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর” বলা হয়। তারা বলেন, “প্রেসিডেন্টের পদমর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমরা সাধারণত এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দেই না। কিন্তু এই দাবিগুলো এতটাই অসঙ্গত যে স্পষ্ট করে জানানো প্রয়োজন: এটি একটি দুর্বল রাজনৈতিক কৌশল।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তুলসী গ্যাবার্ড যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন, তা কোনো নিরপেক্ষ তদন্তের ফল নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি প্রচেষ্টা।
ডেমোক্র্যাট নেতারাও ট্রাম্প ও গ্যাবার্ডের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে মনোযোগ সরাতেই এই ধরনের নাটকীয় দাবি তোলা হচ্ছে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
ইরানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল?
গত মাসে ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধকে সফল বলে মনে …

ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক …

১২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
অভিবাসন সংক্রান্ত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ …
