• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের বিলাসবহুল দুটি বাড়ি শনাক্ত

   ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৭ পি.এম.
শেখ হাসিনার ছেলে জয়। ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি বিলাসবহুল বাড়ির খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আয়কর নথিতে অনুপস্থিত এই সম্পদের মোট মূল্য প্রায় ৫৩ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি অনুসন্ধান টিম।

দুদক সূত্র জানায়, দুটি বাড়ির মধ্যে একটি কেনা হয় ২০১৪ সালের ৫ মে, আরেকটি ২০২৪ সালের ৬ জুলাই। ২০২৪ সালে কেনা বাড়িটি ওয়াশিংটনের গ্রেট ফলস এলাকার পার্কার হাউস ড্রাইভে অবস্থিত এবং এর বর্তমান মূল্য প্রায় ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। অপর বাড়িটি ২০১৪ সালে সজীব ওয়াজেদ ও তার সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওয়াজেদের যৌথ নামে কেনা হয়, যার দাম ছিল ১০ লাখ ডলার।

দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এসব তথ্য-প্রমাণসহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হতে পারে। আদালতের নির্দেশ পেলেই যুক্তরাষ্ট্রে আইনি সহায়তার মাধ্যমে বাড়িগুলো জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

দুদকের অভ্যন্তরীণ সূত্র মতে, সজীব ওয়াজেদের নামে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১৩টি বাড়ি ও একটি শপিং মল থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

এর আগে শেখ হাসিনার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রোক ও দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা চলছে। ৩০ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

এছাড়াও পূর্বাচলে ছয়টি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ পরিবারের সাত সদস্য ও সরকারের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক আটটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুদক।

আরও জানা গেছে, শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগেও একটি অনুসন্ধান চলছে।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সালাহউদ্দিন আহমেদ কার সর্বনাশ করেছেন: রনি
সালাহউদ্দিন আহমেদ কার সর্বনাশ করেছেন: রনি
প্রথম আলোর অফিস গুঁড়িয়ে দিতে হবে: ড. আব্বাসী
প্রথম আলোর অফিস গুঁড়িয়ে দিতে হবে: ড. আব্বাসী
দলগুলোর বিভেদে ফ্যাসিবাদী শক্তি ফিরে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে
দলগুলোর বিভেদে ফ্যাসিবাদী শক্তি ফিরে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে