ঢাবি ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে ৩ হাজার টাকা


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হলের ৫৮৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা শুরু হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অসচ্ছল ছাত্রীদের আবাসন সংকট দূর করতে এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়।
১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন।
অসচ্ছল ছাত্রীদের জন্য এই সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গত জানুয়ারি মাসে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ছিলেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ছালমা নাছরীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিসেস শিউলি আফসার এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমামা ফাতেমা।
উমামা ফাতেমা যুগান্তরকে জানান, ‘আগস্টের পর অনেক ছাত্রী আবাসন সংকটে ভুগছিল। তাদের অনেকের আর্থিক অবস্থা ছিল না যে তারা বাইরে বাসা ভাড়া করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিল এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই। পরে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে এখনও অনেক ছাত্রী এই সহায়তা পাচ্ছে না এবং আবাসন সংকট পুরোপুরি দূর হয়নি।’
ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘এই সহায়তা একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা। আমাদের শিক্ষার্থীর প্রায় ৫৩ ভাগই ছাত্রী, অথচ মাত্র ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ছাত্রীদের জন্য জীবন শুরুতেই কঠিন। বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও জানান, চীনের অর্থায়নে নতুন একটি ছাত্রী হল নির্মাণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া একটি বড় প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়, যেখানে চারটি নতুন ছাত্রী হল এবং পাঁচটি ছাত্র হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট অনেকটাই কমে যাবে।
ভিওডি বাংলা/জা