স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন খালেদা জিয়া


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া এখন আর কেবল বিএনপির সম্পদ নয়, তিনি এখন সারা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আবেগের কেন্দ্রবিন্দু।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার উপর আস্থা ও ভরসা রাখেন। শত নির্যাতন সহ্য করেছেন, কিন্তু দেশের জনগনকে ছেড়ে যাননি।
মঙ্গলবার (৬ মে) চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসলে বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানানোর জন্য সকাল ১০টায় শত শত পেশাজীবী ব্যানার ও জাতীয় পতাকা হাতে বনানীতে অবস্থান নেন। সেখানে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য এসব বলেন পেশাজীবীদের নেতা কাদের গনি চৌধুরী।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র, দেশ ও দেশের জনগণের জন্য আপোষহীন ভূমিকার কারণে করতে হয়েছে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার। এক ছেলেকে হারিয়েছেন, আরেক ছেলে নির্বাসিত, নিজে করেছেন কারাবরণ। কিন্তু তারপরও মাথা নত করেননি গণতন্ত্রবিরোধী, ফ্যাসিবাদী অপশক্তির কাছে। মানুষের জন্য যিনি এতো অত্যাচার-জুলম সহ্য করেছেন সেই নেত্রীকেও সম্মান জানাতে ভুলেনি দেশের মানুষ। তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৫টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেখান থেকেই নির্বাচন করেছেন পরাজিত হননি কখনো। জনগণ যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন; তাদের ভরসাস্থল খালেদা জিয়াকে তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
পেশাজীবীদের এ নেতা বলেন, এশিয়া মহাদেশের নারীনেত্রীদের মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য যে কয়েকজন সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের অন্যতম খালেদা জিয়া। তিনি কখনো ফ্যাসিবাদের কাছে মাথানত করেননি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দীর্ঘ ৯ মাস তিনি দুই শিশুপুত্রসহ পাকিস্তানি সেনানিবাসে বন্দি ছিলেন। এ মহীয়সী নেত্রী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। ২০০৯ সাল থেকে, যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশকে একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করে, তখন তিনি গণতন্ত্রের জন্য তার লড়াই নতুন করে শুরু করেছিলেন। সরকার তাকে জোরপূর্বক তার বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন শুরু করায় তাকে দুইবার গৃহবন্দী করা হয়। গণতন্ত্রের প্রতি তার ভূমিকার জন্য ২০১১ সালে নিউ জার্সির স্টেট সিনেট "গণতন্ত্রের জন্য যোদ্ধা" উপাধিতে সম্মানিত করে।
সার্বক্ষণিক অসুস্থ খালেদা জিয়ার পাশে থাকায় সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা: এজেড এম জাহিদ হোসেনের প্রতি পেশাজীবীরা কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব- সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও সাবেক মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. এবি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড.মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের (সাদা দল) আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব এর সাবেক মহাসচিব আলমগীর হাছিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাব সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. শফিকুল হায়দার পারভেজ, জিয়া পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, এমবিএ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ম্যাব সভাপতি সৈয়দ আলমগীর, ডিপোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) নেতা মুসলেম উদ্দিন, মোহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) সভাপতি জাহানারা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম-ট্যাব) সভাপতি এ কে এম মুসা (লিটন) ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হাফিজুর রহমান, ইউনানী আয়ুর্বেদিক গ্র্যাজুয়েট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আগড্যাব) সভাপতি ডা. মির্জা লুৎফর রহমান লিটন ও মহাসচিব ডা. আমিনুল বারী কানন, ডিপ্লোমা এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডি-এ্যাব) সভাপতি মো. জিয়াউল হায়দার পলাশ ও মহাসচিব সৈয়দ জাহিদ হোসেন, ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (প্যাব) সভাপতি মো. কামরুজ্জামান কল্লোল ও সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীরুল আলম, প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, প্রফেসর ডা.নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. শেখ ফরহাদ প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের দায় সরকার এড়াতে পারে না
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের দায় সরকার এড়াতে পারে না বলে …

দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থানে আনতে একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে
নির্বাচন বিলম্বিত হলে জটিলতা সৃষ্টি হবে জানিয়ে জামায়াতে ইসলামের আমির …

এনসিপির শত্রু বিএনপি নয় : ইশরাক
বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন …
