মাদারীপুরের দুই গ্রামীণ সড়ক যেন মরণফাঁদ


মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে দুটি গ্রামীণ সড়কের সাড়ে ৮ কিলোমিটার পুরোটাই এখন যেন মরণফাঁদে পরিণীত হয়েছে। বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে এলজিইডির কর্মকর্তার বক্তব্য না পাওয়া গেলেও চলতি অর্থবছরে সড়ক দুটি সংস্কারের কথা জানায় উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন টুকু মোল্লার বাড়ি থেকে সরদারকান্দি পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। অথচ ইটভাটার কাজে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত মাহিন্দ্র ও ট্রাক-পিকআপের কারণে পুরো সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু। কোথাও আবার ইট সরে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় বেড়েছে ভোগান্তি। বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। পায়ে হেঁটে চলাচল করাও এখন অস্বস্তিকর হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও পড়েন চরম বিড়ম্বনায়।
অন্যদিকে পখিরা বাজার থেকে শুরু হয়ে আজিজুল মহাজনের বাড়ি পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়কের একই দশা। বৃষ্টির পানিতে পুরো সড়ক এখন হাঁটু কাঁদায় ভরা। জীবিকার তাগিদে চলাচল করছে তিন চাকার যানবাহন। তাও পুরো রাস্তা ঠেলে নিতে হয়। মাঝে মাঝে কাঁদায় আটকে যায় গাড়ি। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একাধিকবার পাকা সড়ক নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানালেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পখিরা গ্রামের বাসিন্দা রোমান আহম্মেদ বলেন, যেখানে পাকা সড়ক আছে, সেখানে পুনরায় আবার সড়কে কাজ হচ্ছে। আমাদের এলাকায় এতো ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক, তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা দ্রুত এই সড়কটি পাকাকরণ চাই। তাহলে এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবেন।
ভ্যানচালক সালাম সরদার বলেন, একসাথে দুই থেকে তিনজন মানুষ লাগে ভ্যান ঠেলে আনতে। এলাকার মানুষ কৃষিকাজও করতে পারছে না ঠিকমতো। কৃষিপণ্য আনানেয়ায় চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
জাজিরা গ্রামের বাসিন্দা আবুল বাশার বলেন, আমি শহরের খুব কাছাকাছি থেকেও পাকা সড়ক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছি। এলাকার সবাই কষ্টে আছে। কবে এখানে উন্নতমানের সড়ক হবে, সেই অপেক্ষায় এলাকাবাসী।
একই গ্রামের ৬০ বছর বয়সি সাবিদা বেগম বলেন, পুরো রাস্তাই ঝুঁকিপূর্ণ। চলার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো রোগী নিয়ে যাওয়া যায় না। কোনো যানবাহন এখানে যেতে চায় না। আগে ট্রলারে যাতায়াত করতাম, এখন সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা এখন ভোগান্তির শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছি।
২০১৯-২০ অর্থবছরে পখিরার সড়কটি খোঁয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইটের সোলিং-এর রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও অদৃশ্য কারণে অসমাপ্ত রাখা হয়। আর পাঁচখোলার সড়কটি কবে সংস্থার হয়েছে, তার কোনোই তথ্য নেই কারও কাছে। এদিকে সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অবশ্য চলতি অর্থবছরেই সড়ক দুটি সংস্কারের আশ্বাস দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, সদর উপজেলার বেশকিছু গ্রামীণ সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ। সরেজমিন পরিদর্শন করে গুরুত্ব বিবেচনা করে সড়কগুলো মেরামত বা সংস্কার করা হবে। প্রয়োজনে নতুন করে নির্মাণও করা হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
বাবার ঘোড়ার গাড়ির চাকায় প্রাণ গেল ছেলের
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়ায় ঘোড়ার গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে সাদমান …

এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ২০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২০০ জন …
