• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য বাসা খোঁজা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:২০ পি.এম.
প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবন হিসেবে ব্যবহৃত ‘গণভবন’ এখন জাদুঘরে রূপান্তরিত হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষিত না হলেও নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বাসস্থানের প্রস্তুতি শুরু করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে রাজধানীর কয়েকটি সম্ভাব্য স্থানে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সুপারিশমালা জমা দিয়েছে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি। নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য হেয়ার রোডের কিছু সরকারি সম্পত্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

গণভবন আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে ব্যবহার হবে না। সেখানে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে ধারণ করে ‘গণজাগরণ জাদুঘর’ গড়ে তোলা হচ্ছে। এর প্রেক্ষাপটে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত ছয় সদস্যের কমিটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা এবং হেয়ার রোডের ২৪ ও ২৫ নম্বর বাংলোকে নতুন সরকারপ্রধানের বাসভবন হিসেবে বিবেচনার সুপারিশ করেছে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পুরোনো মাঠও পরিদর্শন করেছে কমিটি। তবে স্থাপত্য নকশা ও সময়সাপেক্ষ কাজের কারণে সেই স্থানকে উপযুক্ত বিবেচনা করা হয়নি।

মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টে ৩০টি ফ্ল্যাট থাকলেও তার অনেকগুলো এখন বিচারপতি, উপদেষ্টা ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দখলে। তাই ভবিষ্যৎ সরকার গঠনের পর নতুন মন্ত্রীদের জন্য বাসা বরাদ্দ দিতে সমস্যার আশঙ্কায় আগাম পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

মিন্টো রোড ও বেইলি রোডে কয়েকটি ঐতিহাসিক বাংলোবাড়িতে নতুন ভবন নির্মাণ করে মন্ত্রীদের আবাসন সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে কমিটি। এসব জায়গায় ১২+১২ অর্থাৎ ২৪ জন মন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

ঐতিহাসিক ভবন ভাঙা যৌক্তিক কি-না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব বাংলোবাড়ির রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকায় স্থাপত্য অধিদপ্তর ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির একজন সদস্য।

ধানমন্ডি ও গুলশানের দুটি সরকারি পরিত্যক্ত বাড়িতে মন্ত্রীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাবও রয়েছে কমিটির প্রতিবেদনে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির প্রধান ফারুক আহম্মেদ জানান, নির্বাচিত সরকারের জন্য বাসাবাড়ি বরাদ্দ সংক্রান্ত সুপারিশমালা জমা দেওয়া হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বাড়বে ৩০ শতাংশ: নৌ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বাড়বে ৩০ শতাংশ: নৌ উপদেষ্টা
গাজা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের ফোনালাপ
গাজা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের ফোনালাপ
শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশে নতুন নিয়ম জারি
শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশে নতুন নিয়ম জারি