• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান ঈদের দিনেও আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের বাসায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা: বিবিসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের

আওয়ামী আমলে পাওয়া সিটি গ্রুপের ইকোনমিক জোন বাতিল

   ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৭ পি.এম.

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনুমোদন পাওয়া ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

রোববার (১৩এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান। তিনি জানান, বাতিল হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল।

আশিক চৌধুরী বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বেজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ১০টিকে চূড়ান্তভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাতিল হওয়া সরকারি পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো কক্সবাজারের সোনাদিয়া ইকোট্যুরিজম পার্ক, বাগেরহাটের সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরের শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত বিজিএমইএ পোশাকশিল্প পার্ক, সুনামগঞ্জের ছাতক অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাগেরহাটের ফমকম অর্থনৈতিক অঞ্চল, ঢাকা জেলার সিটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অর্থনৈতিক অঞ্চল। সিটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মালিক আওয়ামী পন্থি শিল্পগোষ্ঠী সিটি গ্রুপ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। তবে এক দশকের বেশি সময়ে কয়েকটি বেসরকারি অঞ্চল ছাড়া সফল কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।

এমন বাস্তবতায়, অন্তর্বর্তী সরকার এসে অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা পুনমূর্ল্যায়ন শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারি মাসে বেজার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের বদলে আপাতত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বল্পমেয়াদি ও সময় নির্দিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ওই সময় জানান, এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চল সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সবার মধ্যে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। তাতে দুই বছরের মধ্যে ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৩৩টি শিল্পকারখানা নির্মাণ, ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং প্রায় ২ লাখ ৩৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আশিক চৌধুরী আগে জানিয়েছিলেন, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি একেবারে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে তা থাকবে। কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন বাতিলও হতে পারে।

সেই ধারাবাহিকতায় আজ বেজার গভর্নিং বোর্ডের সভায় ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের ঘোষণা এলো।

এখানে উল্লেখ‍্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অক্টোবর ২০১৪ থেকে জুলাই ২০২১ পর্যন্ত বেজা’র নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন পবন চৌধুরী। তাঁর মেয়াদকালে সিটি গ্রুপ ৩টি ইকোনমিক জোন বরাদ্দ পেয়েছে। অবসরের ২০ দিন পরই সিটি গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর পবন চৌধুরী।

ভিওডি বাংলা/এম 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদে কসমেটিকস স্টোর হারল‌্যানের বিক্রি বেড়েছে
ঈদে কসমেটিকস স্টোর হারল‌্যানের বিক্রি বেড়েছে
৩ দিনে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার
৩ দিনে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার
আজ ব্যাংক খোলা থাকছে যেসব এলাকায়
আজ ব্যাংক খোলা থাকছে যেসব এলাকায়